প্রথম দিনই কাজ শুরু করলেন কেজরিওয়াল, রবিবার সকাল ১০ টায় জনতার দরবারে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী

শপথ নিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুত্‍ মাশুল নিয়ে কথা বলেছেন অফিসারদের সঙ্গে। ক্যাবিনেটের সঙ্গেও বসেছেন। আর সবকিছু ছাপিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ঘুষ দিয়ে কাজ নয়। ঘুষ ছাড়াই চটজলদি কাজ হবে আপ সরকারের প্রশাসনে।

Updated By: Dec 28, 2013, 05:28 PM IST

শপথ নিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুত্‍ মাশুল নিয়ে কথা বলেছেন অফিসারদের সঙ্গে। ক্যাবিনেটের সঙ্গেও বসেছেন। আর সবকিছু ছাপিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ঘুষ দিয়ে কাজ নয়। ঘুষ ছাড়াই চটজলদি কাজ হবে আপ সরকারের প্রশাসনে।

কাজে ঢিলেমি বরদাস্ত করবেন না। শপথের দিনেই বুঝিয়ে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার শপথ নিয়েই পরের পর বৈঠক করলেন। কখনও বসলেন জল বোর্ডের সঙ্গে। তো কখনও বৈঠক করলেন ক্যাবিনেটের সঙ্গে। শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিস কমিশনারের সঙ্গে ।ক্যাবিনেটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

প্রশাসনে স্বচ্ছতা একান্ত প্রয়োজন। সেটা মাথায় রেখেই পুরনো সব সচিবকে সরিয়ে দিয়েছেন। শপথ মঞ্চ থেকে দিল্লিবাসীকে বার্তা দিয়েছেন। আপ প্রশাসনে দুর্নীতির জায়গা নেই।

প্রথম দিনেই দফতর বন্টন করেছেন কেজরিওয়াল। কাজে গতি আনতে মন্ত্রিসভার বহর ছোট রেখেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বিদ্যুত্‍, পরিকল্পনা, পরিষেবা ও ভিজিলেন্স দফতর।

সত্যেন্দ্র জৈন হয়েছেন স্বাস্থ্য ও শিল্পমন্ত্রী। পূর্ত ও শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ছোট রাখী বিড়লা। মন্ত্রী ঠিক হলেও তাঁদের কারোর জন্যই নেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আর পাঁচজনের মতো পায়ে হেঁটে, মেট্রোয় চড়ে শপথ নিতে এসেছিলেন আপ নেতারা। জানিয়ে দিয়েছেন আগামীদিনেও আম আদমির মতোই চলতে ফিরতে চান। সচিবালয় থেকে সুরক্ষা বলয় সরিয়ে নিয়েছেন। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন লালবাতি লাগানো গাড়ি নৈব নৈব চ। প্রথম দিনটা বাড়িই ফিরছেন না। হনুমান রোডে দলীয় দফতরে কাটিয়ে দেবেন রাতটা। যতটা কাজ এগোন যায়।

রবিবার সকাল ১০ টায় জনতার দরবার সেরে তবে বাড়ি যাবেন। রামলীলা ময়দানেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সরকারে বড়-ছোটর কোনও ভেদ নেই। মানুষই তাঁকে ভোট দিয়ে এনেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে তিনিও তাই আম আমদির একজন হয়েই থাকতে চান। শুধু আক্ষরিক অর্থে নয়। বাস্তবেও।

.