করোনাকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা কেরলের, মোকাবিলায় ময়দানে ৪০ হাজার সরকারি কর্মী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলাজা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরা ছাড়াও আরও ৪০টি দফতরের কর্মীদের করোনা মোকাবিলার কাজে নামানো হয়েছে। স্বশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০০ কর্মীকেও নিয়োগ করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ হিসাবে ঘোষণা করল পিনারাই বিজয়ন সরকার। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ৩জনই পড়ুয়া, চিনের উহান প্রদেশ থেকে ফিরেছেন এবং তাঁরা কেরলের স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু এই ৩ জনের সঙ্গে আপাতত যাঁরা সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হিমশিম খাচ্ছে কেরল সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের ৪০ হাজার কর্মী ময়দানে নেমে পড়েছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলাজা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরা ছাড়াও আরও ৪০টি দফতরের কর্মীদের করোনা মোকাবিলার কাজে নামানো হয়েছে। স্বশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০০ কর্মীকেও নিয়োগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব রাজন খোবরাগাড়ে জানান, ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। করোনা আক্রান্ত ৩ জন কেরলের বিভিন্ন হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে তাঁদের চিকিত্সা চলছে।
আরও পড়ুন- শাহিনবাগের আন্দোলনকে দিল্লি ভোটে ব্যবহার করছেন কেজরি: আদিত্যনাথ
গত তিন দিনে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে যে ৮০ জন সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে হাসপাতালে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে ২২৩০ জনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭টি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। জেলা পিছু দুটি করে ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, করোনার ছোবলে চিনে এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। চিন ছাড়াও ২০টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।