কেরলের রাজ্যপাল ফারুকের প্রয়াণ
প্রয়াত হলেন কেরালার রাজ্যপাল এম ও এইচ ফারুক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪। দীর্ঘ দিন ধরেই অস্থিমজ্জার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন পুদুচেরির এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা।
প্রয়াত হলেন কেরালার রাজ্যপাল এম ও এইচ ফারুক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪। দীর্ঘ দিন ধরেই অস্থিমজ্জার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন পুদুচেরির এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা যান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাময়িক ভাবে কর্নাটকের রাজ্যপাল হংসরাজ ভরদ্বাজকে কেরলের রাজ্যপাল পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুদুচেরির কারাইকাল জেলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারে ১৯৩৭ সালে ফারুকের জন্ম। ছাত্রাবস্থাতেই ফরাসী উপনিবেশ পুদুচেরির মুক্তি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভোটে জিতে প্রথম বিধায়ক হন। ডিএমকে এবং কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা হিসেবে তিন দফায় (১৯৬৭-৬৮, ১৯৬৯-৭৪, ১৯৮৫-৯০) পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রিত্বও সামলেছেন তিনি। পালন করেছেন, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার পদের দায়িত্বও।
১৯৯১ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জিতে নরসীমহা রাও সরকারের মন্ত্রিসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হন ফারুক। পরবর্তীকালে ভার পান, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের। ২০০৪ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের জমানায় সৌদি আরবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পদে নিযুক্ত করা হয় ফারুককে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১১-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালনের পর কেরলের রাজভবনে পাঠান হয় তাঁকে।