Kerala Nurse death sentence: ইয়েমেনে মৃত্যদণ্ড কেরালার নার্সকে, এখন 'ব্লাড মানি'-র সুতোয় ঝুলছে প্রাণ

Kerala Nurse death sentence: এনিয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, এ ব্যাপারে সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে

Updated By: Dec 31, 2024, 03:57 PM IST
Kerala Nurse death sentence: ইয়েমেনে মৃত্যদণ্ড কেরালার নার্সকে, এখন 'ব্লাড মানি'-র সুতোয় ঝুলছে প্রাণ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে কেরালার নার্স নিমিশা প্রিয়াকে। খুনের অভিযোগে ২০১৭ সালে থেকে কারাবন্দি ছিলেন নিমিশা। সোমবার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নির্দেশ দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। এর পরই ওই মৃত্যদণ্ড রোখার জন্য তত্পরতা শুরু করল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-তাঁর ড্রাইভার প্রাক্তন অলিম্পিয়ান, পকেটে ১৬ পদক, চমকে গেলেন গাড়ির মালিক...

এনিয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, ইয়েমেন নিমিশা প্রিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমরা জানি নিমিশার পরিবার সব চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্টের সবুজ সংকেতের এক মাসের মধ্য়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে হয়। তা মঞ্জুর হলে প্রাণ ভিক্ষা পান অপরাধী।

কেরালার পাকাক্কাড় জেলার বাসিন্দা প্রিয়া। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আবদো মেহেদি নামে একজনকে খুনের অপরাধে প্রিয়াকে কারাবন্দি করা হয়। ২০২০ সালে প্রিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন নাকচ হয়ে যায়।

এদিকে, এখন যে রাস্তা খোলা রয়েছে সেটি হল ব্লাড মানি দেওয়া। এখন মৃত তালাল আবদো মেহেদির পরিবার যদি ক্ষমা করে তাহলে প্রাণ বাঁচতে পারে প্রিয়ার। এক্ষেত্রে ব্লাড মানি বলে একটি বিষয় রয়েছে। সেটি  তালালের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রিয়ার আইনজীবী যে এনিয়ে কথাবার্তা চালাবেন তার জন্য তিনি চেয়েছেন ৪০,০০০ ডলার।

প্রিয়ার মা প্রেমা কুমারী এপ্রিলে ইয়েমেনে গিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। তার পর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রিয়া ইয়েমেনে গিয়েছিলেন একটি হাসপাতালে কাজ করতে। ২০১৫ সালে তিনি নিজস্ব একটি ক্লিনিক খোলেন। তার জন্য তিনি  তালাল আবদো মেহেদিকে পার্টনার হিসেবে নেন। সেই তালালই বিপুল টাকা জালিয়াতি করেন। মেহেদির কাছে ছিল প্রিয়ার পাসপোর্ট। সেটি আদায় করতে মেহেদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে পাসপোর্ট উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু ড্রাগ ওভারডোজে মেহেদির মৃত্য়ু হয়। গ্রেফতার করা হয় প্রিয়াকে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.