'ললিতেয়' বিতর্ক: বসুন্ধরার অপসারণে সবুজ সঙ্কেত আরএসএস-এর, সঙ্কটে বিজেপি
বসুন্ধরাকাণ্ডে আরও গভীর সঙ্কটে বিজেপি। তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে কিনা এই নিয়ে দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অন্তর্কলহ। রাজেকে সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আরএসএস। তবে এখনও বসুন্ধরার পাশেই রয়েছে রাজস্থানের গোটা বিজেপি ইউনিট।
ব্যুরো: বসুন্ধরাকাণ্ডে আরও গভীর সঙ্কটে বিজেপি। তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে কিনা এই নিয়ে দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অন্তর্কলহ। রাজেকে সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আরএসএস। তবে এখনও বসুন্ধরার পাশেই রয়েছে রাজস্থানের গোটা বিজেপি ইউনিট। রাজস্থানের তিরিশ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই দলের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো উচিত নয় বসুন্ধরাকে। এই পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে। জট কাটাতে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। সকালেই অমিত শাহ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা মোদীর। তবে বিজেপির অনেকের মতে, এই সঙ্কট থেকে বেরোতে বসুন্ধরার অপসারণ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই দলের কাছে।
বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়ে আজ পাঞ্জাব সফর বাতিল করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। একটি টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল অনুযায়ী শারীরিক অসুস্থতার কারণে পাঞ্জাব সফর বাতিল করেছেন রাজে।
তার আগে খবর ছিল আজ বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। সুষমা স্বরাজের পর ললিত মোদী বিতর্কে বিপাকে পড়েছেন তিনিও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১১ সালে আইপিএল-এ আর্থিক নয়ছয়ে জড়িত ললিত মোদীকে ব্রিটেনে যেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবে একটি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল।
সূত্রে খবর, বুধবার অমিত শাহকে ফোন করে এই বিতর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রাজে।
ললিত মোদীর ইমিগ্রেশনের আবেদনে গোপন সাক্ষী হিসেবে সই করেছিলেন রাজে। এই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হওয়ার পর দেশীয় রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়। সুষমা স্বরাজকে নিয়েই বিপাকে বিজেপি আরও খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে, নিজেদের বিজেপি নেতৃত্ব আদৌ রাজের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় যাবেন কিনা, সেই নিয়েও তৈরি হয় প্রবল জল্পনা। ভাবমূর্তি পুনরোদ্ধারে এই পোড়খাওয়া বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে কি আপাত দূরত্বের পথেই হাঁটবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? প্রশ্ন ছিল সেটাই।
ললিত মোদীর আইনি পরামর্শদাতা টিম একটি স্টেটমেন্ট প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই এই বিতর্কে জড়িয়ে যায় বসুন্ধরা রাজের নামও।
ললিত মোদী-কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে বসুন্ধরার ইস্তফা দাবি করেছে বিরোধীরা। সুষমা স্বরাজের পাশে থাকলেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে নেই তা গতকালই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, বসুন্ধরাকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে। বসুন্ধরা দেখা করতে চাইলেও প্রাথমিকভাবে তাঁকে সময় দেননি অমিত শাহ।