চিকিত্সকদের হাতে তুলে দেওয়া হল লক্ষ্মী সেহগলের দেহ

ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগলের দেহদান করা হল মঙ্গলবার। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কানপুর মেডিক্যাল করেজের চিকিত্‍সকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। বেলা বারোটা বেলা ১২টা নাগাদ ঝাঁসির রানি বাহিনীর প্রয়াত ক্যাপ্টেনের দেহ চিকিত্সকদের হাতে তুলে দেন তাঁর কন্যা সুভাষিণী আলি। সোমবার কানপুরে প্রয়াত হন প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্যাপ্টেন লক্ষ্ণী সেহগল।

Updated By: Jul 24, 2012, 08:22 PM IST

ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগলের দেহদান করা হল মঙ্গলবার। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কানপুর মেডিক্যাল করেজের চিকিত্‍সকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর দেহ।  বেলা বারোটা বেলা ১২টা নাগাদ ঝাঁসির রানি বাহিনীর প্রয়াত ক্যাপ্টেনের দেহ চিকিত্সকদের হাতে তুলে দেন তাঁর কন্যা সুভাষিণী আলি। সোমবারই তাঁর চক্ষু দান করা হয়েছে। সোমবার কানপুরে প্রয়াত হন প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্যাপ্টেন লক্ষ্ণী সেহগল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭। গত বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি রানি ব্রিগেডের কম্যান্ডার। তারপর থেকেই কোমায় চলে যান তিনি। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অতি স্নেহের এই কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুতে গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯১৪ সালে মাদ্রাজে জন্ম লক্ষ্মী স্বামীনাথনের। বাবা এস স্বামীনাথন ছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী। মা আম্মু স্বামীনাথন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী। ১৯৩৮ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জনের দু`বছর বাদে ভারতীয় উদ্বাস্তুদের বিনামূল্যে চিকিত্‍সা পরিষেবা দিতে, সিঙ্গাপুরে যান লক্ষ্মী সেহগাল। তিন বছর বাদে, ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে আসেন তিনি। তার পরই ইন্ডিয়ন ন্যাশনাল আর্মি বা আজাদ হিন্দ ফৌজে-তে মহিলা বাহিনী গঠনের দায়িত্ব বর্তায় লক্ষ্মী সেহগালের কাঁধে। তাঁর নেতৃত্বেই গঠিত হয় ঝাঁসির রানি ব্রিগেড। সেই থেকেই বসু পরিবারের সঙ্গে লক্ষ্মী সেহগালের গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা। রিসার্চ ব্যুরোর আজীবন সদস্য ছিলেন লক্ষ্মী সেহগাল।

১৯৪৭ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্নেল প্রেমকুমারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন লক্ষ্মী সেহগাল। তারপরই লাহোর থেকে পাকাপাকি ভাবে চলে আসেন কানপুরে। ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের সদস্য হন লক্ষ্মী সেহগল। সে বছরই নির্বাচিত হন রাজ্যসভাতেও। ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাম দলগুলির সম্মিলিত প্রার্থী হিসেবে এ পি জে আবদুল কালামের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। তাঁর কন্যা সুহাসিনী আলি কানপুরের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তথা সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

.