চাপ কমতেই ট্রেনের সময়-জ্ঞান ১০০ শতাংশ, 'বিরল নজিরে' খুশি রেল
সাধারণভাবে এই জোনে যত ট্রেন চালানো সম্ভব, তার তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি ট্রেন চালাতে হয় এই নর্থ সেন্ট্রাল জোনে। ফলে, রুটের বিভিন্ন সমস্যা সামাল দিতে ট্রেন লেট হয়। যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় ক্ষমতার অতিরিক্ত ট্রেন চালানো ছাড়া কোনও উপায়ও থাকে না রেলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রেন আবার কাঁটায় কাঁটায় চলে নাকি! অনেককেই ভারতীয় রেলের 'সময় জ্ঞানের' বিষয়ে এমন নিন্দা করতে দেখা যায়। তবে, বিপুল জনসংখ্যার জেরে প্রচুর ট্রেনের চাপ না থাকলে যে রেলও 'পাঞ্চুয়াল' হতে পারে, তারই প্রমাণ মিলল হাতেনাতে।
গত ২১ জুন ইতিহাস গড়ল নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে। এদিন এই জোনে ট্রেন চলাচলের পাঞ্চুয়ালিটি বা সময়ানুবর্তিতা ছুঁয়ে ফেলল ১০০ শতাংশ। অর্থাত্ সোজা ভাষায় বললে এদিন এই জোনে প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলেছে। একটিও ট্রেন 'লেট' করেনি জানিয়ে রাখি, সাধারণভাবে এই জোনে পাঞ্চুয়ালিটি থাকে ৭০ শতাংশের আশেপাশে।
এলাহবাদ থেকে নয়াদিল্লি- মূলত নর্থ-সেন্ট্রাল জোনে দূরপাল্লার ট্রেন প্রবেশ করলেই প্রমাদ গোনেন যাত্রীরা। এই বুঝি কোথাও দাঁড়িয়ে পড়ল ট্রেন! তবে, এই জোনে কেন এত সমস্যা হয় তা জানেন?
রেল কর্তাদের হিসাব বলছে, সাধারণভাবে এই জোনে যত ট্রেন চালানো সম্ভব, তার তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি ট্রেন চালাতে হয় এই নর্থ সেন্ট্রাল জোনে। ফলে, রুটের বিভিন্ন সমস্যা সামাল দিতে ট্রেন লেট হয়। যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় ক্ষমতার অতিরিক্ত ট্রেন চালানো ছাড়া কোনও উপায়ও থাকে না রেলের।
সাধারণ সময়ে এই জোনে প্রায় ১০০০টি ট্রেন চলে। তবে এখন দিনে ৪০০টি স্পেশাল, শ্রমিক স্পেশাল ও মালগাড়ি চলছে। অর্থাত্ এই জোনের বহন ক্ষমতার মধ্যেই হচ্ছে ট্রেন চলাচল। তার ফলও মিলছে হাতেনাতে। যাত্রাপথের মাঝে বা শুরুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে না যাত্রীদের।
রেলের এমন 'রেকর্ডে' বেশ খুশি রেল কর্তারা। এমন ঘটনা বেশ বিরল, অকপটে স্বীকার করে নিলেন তাঁরা। তবে, দেশে রেল আনলক হলেও এমন সময়জ্ঞান বজায় থাকবে তো? সে বিষয়ে যদিও এখনও কোনও নিশ্চিত উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন : ভারতেই বিশ্বের বৃহত্তম কোয়ারেন্টিন সেন্টার, ২২টি ফুটবল মাঠের সমান দেখুন ছবি