প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মোদী, ইস্তফা গ্রহণ করলেন কোবিন্দ

একসময়ের ২ সাংসদের দল বিজেপি একার দমে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে।

Updated By: May 24, 2019, 10:00 PM IST
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মোদী, ইস্তফা গ্রহণ করলেন কোবিন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঐতিহাসিক জয়ের পর নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 

একসময়ের ২ সাংসদের দল বিজেপি একার দমে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে। এমন জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব প্রাপ্য একজনেরই। তিনি নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদী। প্রার্থীরা হয়ে উঠেছেন গৌণ, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে নমোকে চেয়ে ভোট দিয়েছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের আগে ইস্তফা দেওয়া রীতি। সেই রীতি মেনেই এদিন রাষ্ট্রপতিভবনে যান নরেন্দ্র মোদী। নিজের ইস্তফাপত্র সঁপে দেন রামনাথ কোবিন্দ। তা গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তার আগে মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শপথগ্রহণের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের কাজকর্ম চালানোর অনুরোধ করেছেন কোবিন্দ। 

সূত্রের খবর, আগামী ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেবেন মোদী। ওই অনুষ্ঠানে দেশের সবরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অমন্ত্রণ জানানো হবে। অনুষ্ঠানে কোনও বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যক্তি যখন নরেন্দ্র মোদী, তখন অতিথি তালিকায় চমক থাকতে পারে। শপথগ্রহণের আগে বারাণসীতে নিজের কেন্দ্রে যাওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদী। দেখা করতে যাবেন মায়ের সঙ্গেও।

বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বিজয় ভাষণ বলেছিলেন,''দেশ বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্র জিতেছে। সাধারণ মানুষ জিতেছে। এটা নতুন ভারতের জনাদেশ। আজ দেখছি, দেশের কোটি কোটি নাগরিক ফকিরের ঝোলা ভরে দিয়েছে''।              

বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাও দেন মোদী। দেশবাসীকে মোদীর প্রতিশ্রুতি,''কথা দিচ্ছি, বদ মানসিকতা নিয়ে কোনও কাজ করব না। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে, সমালোচনা করুন। দেশবাসীকে আবারও বলব, নিজের জন্য কিছু করব না। আর একটা কথা, আমার জীবনের প্রতিটি মিনিট, শরীরের কণা কণা শুধুমাত্র দেশের জন্য বরাদ্দ। ঘাটতি থাকলে সমালোচনা করবেন। দেশকে ভরসা দিতে চাই, যা বলছি, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করব''।

আরও পড়ুন- ছারখার করে বিরোধীদের পরাজয়ের ৩ কারণ বাতলে দিলেন বিনয়ী প্রধানমন্ত্রী

.