ফেসবুকে হেনস্থায় আত্মঘাতী তরুণী
আর পাঁচটা মেয়ের মতই ফেসবুকের ওয়ালে বন্ধুদের ছবি পোস্ট করতেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ১৯ বছরের বি কম ছাত্রী ই নিশান্তিনি। জানতেনই না এই ফেসবুকই তাঁকে ক্রমশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। ফেসবুকে নিশান্তিনিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অরুল দাস নামের ২১ বছরের এক যুবক। নিশান্তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও তাঁকে ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকে অরুল। সম্প্রতি অন্য এক তরণের সঙ্গে নিশান্তিনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।
আর পাঁচটা মেয়ের মতই ফেসবুকের ওয়ালে বন্ধুদের ছবি পোস্ট করতেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ১৯ বছরের বি কম ছাত্রী ই নিশান্তিনি। জানতেনই না এই ফেসবুকই তাঁকে ক্রমশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। ফেসবুকে নিশান্তিনিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অরুল দাস নামের ২১ বছরের এক যুবক। নিশান্তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও তাঁকে ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকে অরুল। সম্প্রতি অন্য এক তরণের সঙ্গে নিশান্তিনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। তার ছবিও নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছিলেন নিশান্তিনি। তারপর থেকেই ক্ষেপে ওঠে অরুল। গত শুক্রবার বিকেলে নিশান্তিনির কলেজে চড়াও হয়ে সকলের সামনেই তাঁকে হেনস্থা করে অরুল।
সেইদিন রাতেই বিষ খান নিশান্তিনি। মেয়েক অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাব। সেখানেই রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নিশান্তিনি। ৬ মাস আগেই অরুলের তাঁকে উত্যক্ত করার কথা বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন নিশান্তিনি। একই পাড়ায় থাকার জন্য ৩ বছর ধরে অরুলকে চিনতেন নিশান্তিনি। তাঁর কথা শুনে অরুলের বাড়ি গিয়ে তার বাবার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিশান্তিনির বাবা, মা। অরুলের বাবা তাঁদের এরকম ঘটনা আর ঘটবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক। কিছুদিন পর থেকেই আবার একই ঘটনা ঘটতে শুরু করে।
নিশান্তিনির আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিস। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অরুলের লাগাতার হেনস্থার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন নিশান্তিনি। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় অরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।