প্রধানমন্ত্রীকে কলম্বোয় যেতে মানা করলেন করুণানিধি
কলম্বোয় আসন্ন কমনওয়েলথ শীর্ষ বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য আরও একবার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেন করুণানিধি। এর ফল ভয়ানক হবে বলেও কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমকে সুপ্রিমো। কিন্তু শেষপর্যন্ত মনমোহন ওই বৈঠকে যাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
কলম্বোয় আসন্ন কমনওয়েলথ শীর্ষ বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য আরও একবার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেন করুণানিধি। এর ফল ভয়ানক হবে বলেও কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমকে সুপ্রিমো। কিন্তু শেষপর্যন্ত মনমোহন ওই বৈঠকে যাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
শ্রীলঙ্কা সেনার সঙ্গে এলটিটিই-র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতি ঘটেছিল ২০০৯-র মে মাসে। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী প্যানেলের মতে, হাজার হাজার নিহতের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন তামিল। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রোষের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপক্সে। গত বছর ওই কাউন্সলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জানায়, তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত সরকারি সেনা সংঘর্ষের শেষ পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিচার করতে হবে। এই ইস্যুতে শ্রীলঙ্কায় যেমন ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে, ভারতের মাটিতেও বহু তামিল নাগরিক সোচ্চার। ভারত যেন শ্রীলঙ্কার উপরে চাপসৃষ্টি করে এই মর্মে নয়াদিল্লির কাছে অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কলম্বোয় আসন্ন কমনওয়েলথ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে পারেন, এই সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আবার সুর চড়িয়েছেন করুণানিধি। তাঁর দাবি, ভারতের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত নয়। ডিএমকে সুপ্রিমোর হুমকি, মনমোহন ওই বৈঠকে গেলে তার ফল ভুগতে হবে কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রী কী করবেন, সরকারি ভাবে এখনও জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সিপিআই নেতা ডি রাজাও প্রধানমন্ত্রীকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বৈঠক বয়কট করার দাবিতে গত ২৪ অক্টোবর তামিলনাডু বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। প্রস্তাবে সমর্থন জানায় মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার এআইএডিএমকে, কংগ্রেস এবং সিপিআই।