মহীপালের স্ত্রীকে সিবিআই জেরা, ভঁবরিদেবীর সিডি নিয়ে নোটিশ টিভি চ্যানেলকে
ভঁবরিদেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেন রাজস্থানের বরখাস্ত জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মহীপাল মদেরনার স্ত্রী লীলা মদেরনা। লীলাদেবীর অভিযোগ,তাঁর স্বামীকে ফাঁসাতেই সংবাদমাধ্যমে সিডি প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবারের পর শনিবারও ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক মালখান সিংকে।
ভঁবরিদেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেন রাজস্থানের বরখাস্ত জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মহীপাল মদেরনার স্ত্রী লীলা মদেরনা। লীলাদেবীর অভিযোগ,তাঁর স্বামীকে ফাঁসাতেই সংবাদমাধ্যমে সিডি প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবারের পর শনিবারও ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক মালখান সিংকে।
গত ১ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান রাজস্থানের জালিওয়ারা গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স ভঁবরিদেবী। খবরে প্রকাশ পায়, মহীপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পঁয়িত্রশ বছরের এই নার্সের। ভনোয়ারি দেবীর স্বামী অমরচাঁদ নাথ অভিযোগ করেন, মন্ত্রীর অনেক কুকীর্তি জেনে ফেলায় তাঁর স্ত্রীকে খুন করে লাশ গায়েব করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিস নিশ্চেষ্ট থাকলেও শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে যোধপুরের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মহীপালের বাবা পরশরাম মদেরনা রাজস্থানের অন্যতম প্রভাবশালী জাঠ নেতা। ফলে পুরো ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধী শিবিরের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি মেনে মামলার ভার সিবিআইকে দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
এর পরই কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে মহীপালকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তিনি ইস্তফায় রাজি না হওয়ায় চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। গত ১৬ অক্টোবর মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয় মহীপালকে।
গত বৃহস্পতিবার যোধপুরের সিবিআই কার্যালয়ে তলব করা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মহীপালকে। সিবিআই তদন্তে মহীপাল মদেরনার পাশাপাশি উঠে এসেছে কংগ্রেস বিধায়ক মালখান সিং বিশনই এবং তাঁর বোন ইন্দিরা বিশনইয়ের নাম। তাঁদের জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে, ইন্দিরা বিশনই এবং ভঁবরিদেবী দেবীর টেলিফোন কথোপকথনের কয়েকটি অডিও টেপ। মহীপালের সঙ্গে ভঁবরিদেবীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও টেপও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা নিশ্চিত, মহীপাল, মালখান-সহ শাসক ও বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ভানোয়ারি দেবীর। সেই সূত্রে বহু গোপন খবর জেনে ফেলেছিলেন এই নিখোঁজ নার্স।
এরই মধ্যে শনিবার ফের মহীপাল মদেরনার স্ত্রী লীলাকে যোদপুরের সার্কিট হাউসে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। লীলা মাদেরনার মন্তব্য, ভঁবরি দেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোনও সম্পর্ক থেকেও থাকলে, তাহলে সেটি কোনও অপরাধের নয়, দুজনের মধ্যে পারস্পরিক আপসের প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে এক হাত নিয়ে তাঁর অভিযোগ, ভঁবরিদেবীর সঙ্গে মহীপালের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের টেপ প্রকাশ করে তাঁর স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। অন্য দিকে এদিন মহীপাল ও ভঁবরিদেবীর অন্তরঙ্গ দৃশ্যের সিডি সম্প্রদার করার জন্য দুটি টিভি চ্যানেলকে 'কারণ দর্শাও' নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। চ্যানেল দুটির বিরুদ্ধে আইন ভেঙে স্পর্শকাতর দৃশ্য সম্প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই সিডির পুনঃসম্প্রচার বন্ধ করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দুই চ্যানেলকে।