পাটনায় সমস্ত অ-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও ইয়েচুরিকে এড়িয়ে গেলেন মমতা

বিজেপি-বিরোধী মঞ্চে এলেন দু-জনেই। দেখা হল। কিন্তু, কথা হল না। পটনার মাটিতে মমতা-ইয়েচুরি একে অন্যকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন। সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা না বললেও রাহুল গান্ধী-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে মমতার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। মুলায়মের অনুপস্থিতিতে আজ অ-বিজেপি নেতাদের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Nov 21, 2015, 12:37 PM IST
পাটনায় সমস্ত অ-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও ইয়েচুরিকে এড়িয়ে গেলেন মমতা

ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি-বিরোধী মঞ্চে এলেন দু-জনেই। দেখা হল। কিন্তু, কথা হল না। পটনার মাটিতে মমতা-ইয়েচুরি একে অন্যকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন। সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা না বললেও রাহুল গান্ধী-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে মমতার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। মুলায়মের অনুপস্থিতিতে আজ অ-বিজেপি নেতাদের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

পটনার গান্ধী ময়দানে নীতীশ কুমারের শপথ অনুষ্ঠান আদতে ছিল বিজেপি-বিরোধী নেতাদের যৌথ মঞ্চ। সেই মঞ্চে বামেদের সঙ্গে সামিল মমতাও। মুলায়ম সিং যাদব ও অখিলেশ যাদব না আসায় শুক্রবার বিভিন্ন অ-বিজেপি দলের নেতাদের কাছে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছেন তিনি।

শপথের আগে সকালেই হোটেলে মমতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী। দুই ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন এবং টি আর বালুর সঙ্গেও মমতার কথা হয়। হোটেলে মমতার ঘরে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।

হোটেল থেকে হেঁটে মমতার সঙ্গে গান্ধী ময়দানে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি-বিরোধী মঞ্চকে কী ভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় এনিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে খবর। নীতীশের শপথ-মঞ্চে সিপিআই নেতা ডি রাজার সঙ্গে করমর্দন করেন মমতা। কিন্তু, ঠিক তার পিছনেই থাকা সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে এড়িয়ে যান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের অ্যানে মার্গের বাড়িতে বিকেলে চা চক্রে অংশ নেন অ-বিজেপি নেতারা। অ্যানে মার্গের বাড়িতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলাদা কথা হয়। ফেরার পথে পাটনা বিমানবন্দরেও মমতাকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলেন রাহুল। চায়ের আসরে নীতীশ কুমারের সঙ্গেও এদিন আলাদা কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, চা চক্রে সীতারাম ইয়েচুরি উপস্থিত থাকলেও তাঁকে এড়িয়ে যান মমতা। ইয়েচুরিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেননি।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে তার আগে সচেতনভাবেই মমতা-ইয়েচুরি একে অন্যকে এড়িয়ে গেছেন। যেদিন, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেদিন মমতা-ইয়েচুরি কেউই কাছাকাছি এসে কর্মীদের ভুল বার্তা দিতে চাননি। মমতার উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন ইয়েচুরি। নীতীশ কুমারের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পায়ে হেঁটেই লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়ি যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সস্ত্রীক লালু তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের উপস্থিতিতে নীতীশের শপথ অ-বিজেপি দলগুলির মঞ্চ হয়ে উঠলেও মুলায়ম-অখিলেশ না আসায় তাল কেটেছে। মুলায়ম নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠানোয় বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় তাঁর যোগাযোগের জল্পনা আরও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নীতীশের শপথে না এলেও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুকে পাঠিয়েছিলেন। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বেঙ্কাইয়ার গলায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিহারকে সাহায্য করার কথা শোনা গেছে।

.