কাস্তে-কুঠারের কোপে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ কাটে স্বামী, তারপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ!
দম্পতির ২ সন্তান। ১৩ বছরের একটি মেয়ে ও ৮ বছরের একটি ছেলে। খুনের একদিন আগে দুজনকেই মামাবাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রদেশের রতলমে। ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীকে নৃশংস খুন স্বামীর। আগেই স্ত্রীকে খুনের ছক কষে স্বামী। কীভাবে স্ত্রীকে খুন করবে, সেই পরিকল্পনা করার পর ঘটনার একদিন আগে দুই সন্তানকে মামাবাড়িতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় হত্যালীলা।
কুঠারের কোপে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ কাটে স্বামী। তারপর তাঁর কানও কেটে নেয়। কেটে দেয় গলার নলিও। স্ত্রীকে খুনের পর শেষে নিজেও আত্মঘাতী হয় স্বামী। পুলিস জানিয়েছে, দম্পতির ২ সন্তান। ১৩ বছরের একটি মেয়ে ও ৮ বছরের একটি ছেলে। খুনের একদিন আগে দুজনকেই মামাবাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ বচসা থেকেই ঘটে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড।
নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াকৈর ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের সরদার আলীর ছেলে বালু মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী তেজকুঁয়ার (২৩)। আলোট থানার এসআই নারায়ণ গিরি জানিয়েছেন, আইপিসি-র সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে এই ঘটনায়। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। অভিযুক্ত বালু তার স্ত্রীর গোপনাঙ্গে কুড়াল, কাস্তে এবং ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করে। এরপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নির্মমভাবে স্ত্রীর চোয়াল ভেঙে, গলা কেটে হত্যা করে। তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে তারপর অভিযুক্ত তার দুটি কানও কেটে ফেলে।
পুলিস জানিয়েছে, এর আগেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছে এবং আলোট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রামের সরপঞ্চ সুরেশ পোরওয়াল পুলিসকে ফোন করেন। দরজার তালার কারণে পুলিসকেও দরজা ভাঙতে হয়। পুলিস দরজা ভেঙে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। আর নিহত স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় নিজের ঘরেই মাটিতে পড়ে ছিলেন। দেহ উদ্ধারের পর রতলাম থেকে এফএসএলের দলকে ডেকে পাঠায় আলোট থানার পুলিশ। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন, Delhi Metro: বিকিনি থেকে হস্তমৈথুন-চুম্বন, অশ্লীলতা রুখতে দিল্লি মেট্রোয় এবার ছদ্মবেশী পুলিস!