Agra Murder: পোষ্য টিয়ার সাক্ষ্যে ৯ বছর পর যাবজ্জীবন খুনি ভাইপোর

Agra Murder:ওই খুনের ঘটনার পর খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় নীলমের পোষা টিয়া। আওয়াজ করাও বন্ধ করে দেয়। সন্দেহ হয় বিজয়ের। তিনি যখন একের পর এক সন্দেহভাজন লোকজনের নাম করতে থাকেন তখন দেখা যায় আশু নাম শুনেই আতঙ্কে সিঁটিয়ে যাচ্ছে টিয়া

Updated By: Mar 24, 2023, 09:08 PM IST
Agra Murder: পোষ্য টিয়ার সাক্ষ্যে ৯ বছর পর যাবজ্জীবন খুনি ভাইপোর

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একেবারে সিনেমার মতো গল্প। টিয়া পাখির দেওয়া সাক্ষ্যে খুনির কাছে পৌঁছে গেল পুলিস। বিচারে সেই খুনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। চাঞ্চল্যকর এমনই ঘটনা ঘটেছে আগ্রায়। 

আরও পড়ুন-অনুব্রত তিহাড়ে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার

২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়িতে খুন হন নীলম শর্মা। তিনি ছিলেন আগ্রায় এক নামী দৈনিকের সম্পাদক বিজয় শর্মার স্ত্রী। খুনের পর নীলমের বাড়ি থেকে সব নামী দামি জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় খুনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। খুনিকে চিনিয়ে দেয় নীলমের বাড়িতে থাকা পোষা টিয়া পাখিটি। নীলমের পোষা টিয়াটি বিজয় শর্মার ভাইপোর নাম ধরে বারবার চিত্কার করতে থাকে। তাতেই সন্দেহ হয় পুলিসের।

পোষা পাখির ওই চিত্কারে প্রথম সন্দেহ হয় বিজয় শর্মার। তিনি গোটা বিষয়টি পুলিসকে বলেন। তারপরই পুলিস বিজয়ের ভাইপো আশুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে আশু। সে স্বীকার করে নেয় বন্ধু রনি মেসির সাহায্য় নিয়ে সে-ই কাকীমাকে খুন করেছে।

ওই খুনের ঘটনার পর ৯ বছর পার হয়ে গিয়েছে। এতগুলো বছর পর শুক্রবার সেই মামলার রায় দিলেন বিচারক মহম্মর রশিদ। তিনি তাঁর রায়ে আশু ও রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কী হয়েছিল ঘটনার দিন? জানা যাচ্ছে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বিজয় শর্মা তাঁর ছেলে রাজেশ ও মেয়ে নিবেদিতাকে নিয়ে ফিরোজাবাদে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। বাড়িতে রয়ে যান নীলম। রাতে যখন তারা বাড়ি ফেরেন তখন তাদের দেখেন ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে নীলম ও বাড়ির পোষা কুকুরের মৃতদেহ। কোনও ধারল অস্ত্র দিয়ে দুজনকেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ওই দৃশ্য দেখেই পুলিসে খবর দেন বিজয় শর্মা।

এদিকে, ওই খুনের ঘটনার পর খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় নীলমের পোষা টিয়া। আওয়াজ করাও বন্ধ করে দেয়। সন্দেহ হয় বিজয়ের। তিনি যখন একের পর এক সন্দেহভাজন লোকজনের নাম করতে থাকেন তখন দেখা যায় আশু নাম শুনেই আতঙ্কে সিঁটিয়ে যাচ্ছে টিয়া। একসময় সে আশু আশু বলে চিত্কার করতে শুরু করে। পুরো বিষয়টি পুলিসকে জানান বিজয়। তখনই তাকে জেরা শুরু হয়। 

নীলমের মেয়ে নিবেদিতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, বাবা আশুকে এমবিএ করার জন্য ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিল। ও প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত থাকত। কোথায় টাকা, কোথায় গহনা রয়েছে তা ও জানতো। ঘচনার দিন ও আমাদের পোষা কুকুরটির ৯ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পাশাপাশি মাকে ১৪ বার ছুরি দিয়ে কোপায়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.