কৈলাস ধামের পথে ১৪০০ পুণ্যার্থী
শুরু হল এবছরের মানস সরোবর যাত্রা। কৈলাস ধামের পথে ১৪০০ পুণ্যার্থী। তুষারশুভ্র কৈলাস ডাকছে। প্রতীক্ষায় মানস সরোবরের স্ফটিক স্বচ্ছ জল। অপেক্ষায় ছিলেন পুণ্যার্থীরাও। শনিবার তাঁদের সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। অতএব যাত্রা শুরু।
ওয়েব ডেস্ক: শুরু হল এবছরের মানস সরোবর যাত্রা। কৈলাস ধামের পথে ১৪০০ পুণ্যার্থী। তুষারশুভ্র কৈলাস ডাকছে। প্রতীক্ষায় মানস সরোবরের স্ফটিক স্বচ্ছ জল। অপেক্ষায় ছিলেন পুণ্যার্থীরাও। শনিবার তাঁদের সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। অতএব যাত্রা শুরু।
কৈলাসের পথে পুণ্যের আকর্ষণ যত, ততটাই অ্যাডভেঞ্চারের! একদিকে আত্মশুদ্ধির তীর্থ। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশনের পরিভাষায় দুর্দান্ত ট্রেকিং এক্সপিডিশন। দুইয়ের টানে আবেদনের সংখ্যাটাও এবার বেশি। গতবার যা ছিল হাজারের মধ্যে, এবার তা ছাড়িয়ে ১৪০০। অর্থাত্ প্রায় দেড় হাজার ছুঁইছুঁই!
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ৬০ ফুট উঁচুতে মানস হ্রদের শান্ত নীল জলরাশি। তারও ওপরে ২২ হাজার ফুট উচ্চতায় কৈলাস পর্বত। পুরাণ মতে, ব্রহ্মার মানসপটে প্রথম তৈরি হয়েছিল এই সরোবর। তারপরে তা পার্থিব রূপ পায়। সেকারণেই নাম মানস সরোবর। পথ দুর্গম। বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী যাচ্ছেন উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস হয়ে। সাড়ে ৩০০ পুণ্যার্থী যাবেন সিকিমের নাথুলা পাস হয়ে। নাথুলা দিয়ে কৈলাসে পৌছনোর পথ সহজ। কারণ, যাত্রাপথের বেশিরভাগটাই রাস্তা করা আছে। ফলে অনেকটা গাড়িতে যাওয়া যায়।
তীর্থের টানে ভারতভূমির বাসিন্দারা কবে আর প্রতিকূলতাকে গ্রাহ্য করেছে! আর মানস সরোবর তো নিছক তীর্থস্থান নয়। মানস সরোবর মানে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র যেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈনরা নিজের নিজের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে হাজির হন প্রতি বছর। অপার সৌন্দর্য আর থ্রিলিং নেচার এই যাত্রার বাঁকে বাঁকে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে তীর্থযাত্রা। রওনা হয়ে গেল প্রথম ব্যাচ। তাদের সবাইকে শুভযাত্রা।