মুক্তি পেলেন পাওলো বসুস্কো
মাওবাদীদের হাতে ১১ দিন পণবন্দি থাকার পর গত ২৫ মার্চ ছাড়া পেয়েছিলেন অসুস্থ ক্লডিও কোলাঞ্জেলো। এদিন তাঁর সঙ্গী পাওলো বসুস্কোকেও ২৯ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিল সব্যসাচী পাণ্ডার নেতৃত্বাধীন সিপিআই (মাওবাদী) গোষ্ঠী। দক্ষিণ-পশ্চিম ওড়িশার কন্ধমাল জেলার মোহনা গ্রামে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। গত ১৪ মার্চ কন্ধমাল জেলার জঙ্গল থেকে এই দুই ইতালীয় পর্যটককে অপহরণ করেছিল মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের হাতে ১১ দিন পণবন্দি থাকার পর গত ২৫ মার্চ ছাড়া পেয়েছিলেন অসুস্থ ক্লডিও কোলাঞ্জেলো। এদিন তাঁর সঙ্গী পাওলো বসুস্কোকেও ২৯ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিল সব্যসাচী পাণ্ডার নেতৃত্বাধীন সিপিআই (মাওবাদী) গোষ্ঠী। দক্ষিণ-পশ্চিম ওড়িশার কন্ধমাল জেলার মোহনা গ্রামে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। গত ১৪ মার্চ কন্ধমাল জেলার জঙ্গল থেকে এই ২ ইতালীয় পর্যটককে অপহরণ করেছিল মাওবাদীরা।
এদিন মুক্তি পাওয়ার পর এদিন বসুস্কো বলেন, ''আমি খুবই ক্লান্ত। কয়েকদিন বিশ্রাম দরকার।'' মাওবাদীদের ডেরায় কেমন ছিলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বসুস্কো জানান, তিনি ভালই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছেন মাওবাদীরা।
সিপিআই (মাওবাদী)-র ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী পাণ্ডা শর্ত মেনে মঙ্গলবারই মাওবাদী নেত্রী শুভশ্রী ওরফে মিলি পাণ্ডাকে মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার। আদালতে শুভশ্রী পাণ্ডার জামিনের আর্জির বিরোধিতা করেনি সরকারপক্ষ। এরপর বুধবার পণবন্দী ইতালীয় নাগরিক পাওলো বসুস্কোকে মুক্তির ব্যাপারে নতুন অডিও টেপ প্রকাশ করেছিলেন সিপিআই (মাওবাদী) রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী পাণ্ডা। প্রকাশিত অডিও টেপে সব্যসাচী পাণ্ডা জানান, ওড়িশা সরকার তাঁদের ১৩ দফা শর্ত মেনে নিলে তবেই ছাড়া হবে ইতালীয় নাগরিককে। তবে সেই সঙ্গেই নবীন পট্টনায়ক প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার ও মধ্যস্থতাকারীদের স্বাক্ষর করা একটি কপি পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে মিলি পাণ্ডা ইতালীয় পর্যটক পাওলো বসুস্কোর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে বলেন, প্রয়োজনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে তিনি রাজি।
তবে সব্যসাচী পাণ্ডার বিরোধী অপহৃত বিজেডি`র দলিত বিধায়ক জিনা হিকাকাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানায়নি মাওবাদীরা। সূত্রে খবর, কোরাপুট জেলার লক্ষ্মীপুরের বিজেডি বিধায়ককে মুক্তির জন্য স্থানীয় উপজাতিদের কয়েকটি সংগঠন মাওবাদীদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। তাই একটি জনসমক্ষে বিচারের পর হিকাকাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বিধায়ক জিনা হিকাকাকে অন্ধ্র-ওড়িশা সীমানায় মাওবাদীদের বিশেষ জোনাল কমিটির সদস্যরা অপহরণ করে। কোরাপুট জেলায় এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে রামকৃষ্ণন ও দয়া। সব্যসাচী পণ্ডার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের মাওবাদী নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই দুই নেতার সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়।