যেখানে মাও-ভয়, সেখানে সন্ধে হয়
হালুম, হুলুম ডাকে যেখানে ওড়িশার নামকরা সুনাবেদা অভয়ারণ্যে পর্যটকরা বেশি ভিড় করত, আজ মাও ডাকে সেখানে সব শূণ্য। আগে প্রতি বছর এই অভয়ারণ্যে প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের ভিড় হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মাওবাদীদের দাপটে সুনাবেদায় পা দিতে পর্যটকরা শিউরে উঠছেন।
হালুম, হুলুম ডাকে যেখানে ওড়িশার নামকরা সুনাবেদা অভয়ারণ্যে পর্যটকরা বেশি ভিড় করত, আজ মাও ডাকে সেখানে সব শূণ্য। আগে প্রতি বছর এই অভয়ারণ্যে প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের ভিড় হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মাওবাদীদের দাপটে সুনাবেদায় পা দিতে পর্যটকরা শিউরে উঠছেন।
এই অভয়ারণ্যের কাছাকাছি এক জায়গায় গত মঙ্গলবার মাও-গেরিলার হাতে এক পুলিস অফিসার মারা যান। বন আধিকারীক বিশ্ব রঞ্জন রাউত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গতবছর ভয়ে এখানে কোনও পর্যটক আসেনি। এমনকী এখানকার বনকর্মী, বনরক্ষীরাও এখন সবসময় ভয়ে তটস্থ থাকে। বর্তমানে এই অভয়ারণ্যের ৬০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে মাওবাদীদের বসবাস করছে। ২০০৮ থেকে বিভিন্ন সময়ে মাওবাদীরা বনের অফিসার, কর্মী এমনকী এই অঞ্চলের নেতাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে এসেছে। গত বছর মে মাসে মাওবাদীদের ব্যপক হিংসায় ৯জন পুলিস কর্মী মারা যায়।
ছত্রিশগড় সংলগ্ন এই অভয়রাণ্যের দুরাবস্থা নজরে আসা সত্ত্বেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বনকর্মীরা। যে অভয়রাণ্যে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক আসত সেখানে মাওবাদীর ভয়ে এমন দুরাবস্থার জন্য পুলিস প্রশাসনকে দায়ী করছেন তাঁরা।
সুনাবেদা অভয়ারণ্যে বাঘ, চিতা ছাড়াও হায়না, হরিন, ভাল্লুক, ময়ূর, তিতির, পাহাড়ি ময়নাদের চলাচল রয়েছে। তবে পর্যটকরা সুনাবেদা এড়িয়ে যাওয়ায় আখেরে লাভ হয়েছে বন্যপ্রাণীদেরই। কারণ, তাদের কাছে যে `মাও-ভয়` থেকে `মানুষ-ভয়` অনেক বড়।