৬০ হাজার মানুষ আটকে উত্তরাখণ্ডে, মৃত বেড়ে ১০০

আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে উত্তর ভারতের বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টি, ধস ও হরকা বানে কমপক্ষে একশো একত্রিশজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে উত্তারাখণ্ডেই প্রাণ হারিয়েছেন ১০২জন। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপয়াগ। সেখানে ৭৩টিরও বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হড়কা বানে ক্ষতিগ্রস্ত কেদারনাথের মন্দির। কেদার নাথ থেকে পঞ্চাশটিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এখনও ৫০০ জনের খোঁজ মেলেনি । উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পাঁচ হাজার জওয়ান। নামানো হয়েছে বারোটি হেলিকপ্টার। মোট ৬০০০ মানুষ আঁটকে আছেন উত্তরাখণ্ডে। এঁদের মধ্যে ১৭০০ জন বাংলার। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ।

Updated By: Jun 19, 2013, 11:50 AM IST

আকাশ ভাঙা বৃষ্টির পর আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হয়েছে উত্তর ভারতে। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকার্যও চলছে জোরকদমে। এখনও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন ৬০ হাজার মানুষ। বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০২ জন।
বুধবার বন্যা বিপর্যস্ত এলাকার হাওয়াই পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, সেনার সাহায্য নিয়ে ১,০০০ মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কেদারনাথ মন্দিরের কাছে এখনও আটকে রয়েছেন ১৫,০০০ তীর্থযাত্রী।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপয়াগ। সেখানে ৭৩ টিরও বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হড়কা বানে ক্ষতিগ্রস্ত কেদারনাথের মন্দির। কেদার নাথ থেকে পঞ্চাশটিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এখনও ৫০০ জনের খোঁজ মেলেনি । উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পাঁচ হাজার জওয়ান। নামানো হয়েছে বারোটি হেলিকপ্টার। মোট ৬০০০ মানুষ আঁটকে আছেন উত্তরাখণ্ডে। এঁদের মধ্যে ১৭০০ জন বাংলার। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ।
এঅবস্থায় সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুনার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গতকাল বন্যাকবলিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও। হিমাচলপ্রদেশেও ধসে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। টানা বৃষ্টিতে উত্তরপ্রদেশেও বিভিন্ন নদীর জলও বাড়ছে। সেখানে কমপক্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গঙ্গা ও যমুনা নদীর জল বাড়ায় রাজ্যের বহু মানুষ ঘরছাড়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হরিয়ানার জনজীবন। যমুনানগর, কার্নাল, পানিপথের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। দিল্লিতে যমুনার জল বিপদসীমার উপরে বইছে। পূর্বদিল্লির নদীসংলগ্ন এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। উত্তরাখাণ্ড এবং হিমাচলে আটকে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সতেরোশ পর্যটক। তাঁদের জন্য দিল্লির বঙ্গভবনে হেল্পলাইন খুলেছে রাজ্য সরকার। উত্তরখাণ্ডে গেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী।

.