দলের কাজ করতে চেয়ে সনিয়াকে ইস্তফা চার মন্ত্রীর

ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের কাজে `আত্মনিয়োগ` করার মনোবাসনা ব্যক্ত করলেন মনমোহন মন্ত্রিসভার চার প্রভাবশালী কংগ্রেস মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ, আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং অনাবাসী ভারতীয় বিষয়কমন্ত্রী ভায়লার রবি রয়েছেন এই তালিকায়।

Updated By: Apr 24, 2012, 05:31 PM IST

ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের কাজে 'আত্মনিয়োগ' করার মনোবাসনা ব্যক্ত করলেন মনমোহন মন্ত্রিসভার ৪ প্রভাবশালী কংগ্রেস মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ, আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং অনাবাসী ভারতীয় বিষয়কমন্ত্রী ভায়লার রবি রয়েছেন এই তালিকায়।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে ইস্তফার অভীপ্সা ব্যক্ত না করে যে ভাবে তাঁরা সরাসরি ১০ জনপথবাসিনীকে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তাতে কংগ্রেসের সংগঠনে বড় ধরনের রদবদল আসন্ন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে ইস্তফা দানের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠি লেখার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। ৪ মন্ত্রীর ইস্তফার ইচ্ছেপ্রকাশকের খবরকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে খবরটিকে সংবাদমাধ্যমের 'কল্পনাপ্রসূত' বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, '' সরকারের মধ্যে থাকুক বা বাইরে থাকুক, প্রত্যেকেই দলের কর্মী। তাই এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না।''

তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে, পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশকারী ৪ মন্ত্রীই সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জয়রাম রমেশ ছাড়া বাকি ৩ মন্ত্রীই বিভিন্ন সময়ে স্ব স্ব রাজ্য এবং এআইসিসি'তে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন। একাধিকবার সলমন খুরশিদ উত্তরপ্রদেশ এবং ভায়লার রবি কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন। গুলাম নবী আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। এআইসিসি'র সাধারণ সম্পাদক পদে কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩ জনেরই। অন্যদিকে প্রথম ইউপিএ সরকারের জমানায় সাকিন অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের পরিচিত ছিল, 'ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল'-এর চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর উন্নয়ন সংক্রান্ত পরামর্শদাতা হিসেবে। সাম্প্রতিক অতীতে বন ও পরিবেশমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর কঠোর কিছু পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিল।
সম্প্রতি ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও মুম্বই ও দিল্লির পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই দল ও সরকারে বড় ধরনের রদবদলের কথা শোনা যাচ্ছিল ২৪ আকবর রোডের অন্দরমহলে। এই পরিস্থিতিতে বাজেটের অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের সূচনার দিন ৪ মন্ত্রীর ইস্তফার কথা প্রচারিত হওয়ার পর সঙ্গত কারণেই প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয় রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।

.