অমুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব, ভোটের মুখে গুজরাটে বিজেপির চাল

পনেরো দিনে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যসভা এবং লোকসভার আইন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিগুলি সিএএ-এর নিয়মগুলি তৈরি করার জন্য আরও একটি এক্সটেনশন মঞ্জুর করেছে। রাজ্যসভা থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং লোকসভা ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সপ্তম এক্সটেনশন দেওয়া হল।

Updated By: Nov 1, 2022, 12:48 PM IST
অমুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব, ভোটের মুখে গুজরাটে বিজেপির চাল

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্র সরকার আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর অধীনে গুজরাটের দুটি জেলায় যারা বসবাস করছে তাদেরকে দেওয়া হবে এই নাগরিকত্ব। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর অধীনে কিন্তু বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ (CAA)- এর অধীনে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। সিএএ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থাও করে। তবে আইনের অধীনে এই নিয়মগুলি সরকার এখনও তৈরি করেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত কাউকে এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের পাঁচ নম্বর ধারায় ভারতের নাগরিক হিসাবে নিজেদের নাম নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে অথবা ১৯৫৫ এর ছয় নম্বর ধারায় তাদেরকে ন্যাচেরালাইজেশনের শংসাপত্র দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব বিধি, ২০০৯ এর বিধান মানা হবে।

গুজরাটের এই দুটি জেলায় বসবাসকারী এই ধরনের মানুষদের তাদের আবেদনগুলি অনলাইনে জমা দিতে হবে যা জেলা পর্যায়ে কালেক্টর যাচাই করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদন এবং তার রিপোর্টগুলি একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনলাইনে অ্যাক্সেসযোগ্য করা হবে।

পাশাপাশি কোনও কালেক্টর যদি মনে করেন যে কোনও আবেদন যাচাই করতে হবে তাহলে সেই কাজের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন।

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পরে, কালেক্টর তাকে নিবন্ধন বা স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করবেন এবং নিবন্ধন বা স্বাভাবিকীকরণের একটি শংসাপত্র জারি করবেন।

নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে চায় যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছিলেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে সিএএ পাস হওয়ার পরে এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরে দেশের বেশ কিছু অংশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যদিও, CAA এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি কারণ এর অধীনে নিয়মগুলি এখনও তৈরি করা হয়নি।

আরও পড়ুন: সাঁই বাবার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা রবার্ট বঢরার, তীব্র আক্রমণ বিজেপির

সংসদীয় কাজের ম্যানুয়াল অনুসারে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও আইন প্রণয়নের নিয়ম তৈরি করা উচিত ছিল। অথবা লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধীনস্থ আইন সংক্রান্ত কমিটিগুলির কাছ থেকে এক্সটেনশন চাওয়া উচিত ছিল।

২০২০ সালের জানুয়ারীতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল যে আইনটি ১০ ​​জানুয়ারী, ২০২০ থেকে কার্যকর করা হবে। তবে পরবর্তীকালে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সংসদীয় কমিটিগুলিকে মন্ত্রক অনুরোধ করে যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিয়মগুলি বাস্তবায়নের জন্য আরও কিছু সময় যেন দেওয়া হয়।

গত পনেরো দিনে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যসভা এবং লোকসভার আইন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিগুলি সিএএ-এর নিয়মগুলি তৈরি করার জন্য আরও একটি এক্সটেনশন মঞ্জুর করেছে।

রাজ্যসভা থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং লোকসভা ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সপ্তম এক্সটেনশন দেওয়া হল।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.