মোদী-মমতার দেখা হল, আলোচনা হল, কিন্তু এবার! কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল

অবশেষে দেখা হল মোদী-মমতার। কুড়ি  মিনিট কথাও হল। কী হল আলোচনা? শুধুই কি আর্থিক দাবিদাওয়ার দরদস্তর? নাকি জন্ম নিল নতুন কোনও সমীকরণ? বাধ্যবাধকতার সমীকরণ! কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল।

Updated By: Mar 9, 2015, 09:18 PM IST
মোদী-মমতার দেখা হল, আলোচনা হল, কিন্তু এবার!  কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল
ছবি-পিএমও ইন্ডিয়া

ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে দেখা হল মোদী-মমতার। কুড়ি  মিনিট কথাও হল। কী হল আলোচনা? শুধুই কি আর্থিক দাবিদাওয়ার দরদস্তর? নাকি জন্ম নিল নতুন কোনও সমীকরণ? বাধ্যবাধকতার সমীকরণ! কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল।

একবছর আগেও এই ছিল সম্পর্ক। দিল্লির মসনদে মোদী বসার পরেও শীতলতা কাটেনি। মোদীকে শুভেচ্ছা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। এড়িয়ে গিয়েছেন নীতি আয়োগ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক। হঠাত্‍ই গলল বরফ।

দেখা হল দুজনের-বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল গতমাসেই। বাংলাদেশ সফরে গিয়ে আচমকাই তিস্তা জলবণ্টন ইস্যুতে বিবেচনার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একমাসের মধ্যেই আবার চমক। দিল্লি গিয়ে সটান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বৈঠক নিয়ে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতেও, অর্থনৈতিক দরদস্তুরের কথাই লেখা হচ্ছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এই বৈঠক শুধুই কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দুই সরকারের প্রধানের আলোচনা? মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক ইস্যুর পাশাপাশি মমতা-মোদীর রাজনৈতিক বাক্যালাপের সম্ভাবনাও যথেষ্ট বেশি। কারণ, জমে থাকা সংস্কারি বিল পাস করাতে, রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু মোদী সরকারের মমতার সমর্থন প্রয়োজন। আবার সারদা ও মুকুল কাণ্ডে অস্বস্তিতে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্ক জরুরি।

বরফ গলানোর চাহিদা দুতরফেই রয়েছে। বাংলাদেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিস্তা নিয়ে আশ্বাসে গলেছিল একপ্রস্ত বরফ। বসন্তের এই বৈঠকে পাকাপাকিভাবে কাটল কি রাজনৈতিক শীতলতা? উত্তর দেবে ভবিষ্যত্‍।

.