ফের শ্লীলতাহানি অসমে, গুয়াহাটি কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

গুয়াহাটি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অমরজ্যোতি কলিতাকে গ্রেফতার করল পুলিস। রবিবার ভূবনেশ্বর থেকে তাকে গ্রেযফতার করে পুলিস। রবিবার সকালেই ঘনশ্যাম মালিক, নবজ্যোতি এবং দিগন্ত বসুমাতারি নামে ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

Updated By: Jul 15, 2012, 01:27 PM IST

গুয়াহাটি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অমরজ্যোতি কলিতাকে গ্রেফতার করল পুলিস। রবিবার ভূবনেশ্বর থেকে তাকে গ্রেযফতার করে পুলিস। রবিবার সকালেই ঘনশ্যাম মালিক, নবজ্যোতি এবং দিগন্ত বসুমাতারি নামে ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ৪ জনকে। অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস।
অন্যদিকে গুয়াহাটি কাণ্ডের মধ্যেই ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা অসমে। এবার ঘটনাস্থল শিবসাগর জেলার ডোলপা জঙ্গল। অভিযোগ কাঠ কুড়োতে যাওয়া এক কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেছেন কয়েকজন সেনা জওয়ান। ঘটনায় এক জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ গতকাল শিবসাগরের ডোলোপা জঙ্গলে এক ল্যান্স নায়েকের নেতৃত্বে টহল দিচ্ছিলেন কয়েকজন জওয়ান। সেসময় ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই জওয়ানদের বিরুদ্ধে। কিশোরীর চিত্কারে ছুটে আসেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় নিতাইখুড়ি সেনা ক্যাম্পে চড়াও হন তারা। থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ।
গুয়াহাটির ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের জন্য শনিবারই ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এদিকে, গুয়াহাটিতে আক্রান্ত তরুণীর শরীরে সিগারেটের ছ্যাকার দাগ দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা। তাঁদের আশঙ্কা, শ্লীলতাহানির সময় ওই তরুণীর গায়ে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে আক্রান্ত তরুণীর। যদিও, এখনও প্রকাশ্যে আসেনি সেই রিপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য। দশ থেকে পনেরোদিনের মধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে ওই রিপোর্ট পেশ করার কথা। ঘটনার প্রায় একঘণ্টা পর পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ ওঠায়, অসম পুলিসের কড়া সমালোচনা করেছে মহিলা কমিশন।
সোমবার রাতে জিএস রোডের একটি পানশালা থেকে এক তরুণী তার বন্ধুকে নিয়ে বেরোনোর সময় মুখোমুখি হয় একদল দুষ্কৃতীর। প্রথমে তাকে উত্যক্ত করা হয় এবং পরে শুরু হয় নির্যাতনের পালা। মেয়েটি সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু পায়নি। বরং ঘটনাস্থলে উপস্থিত গুয়াহাটিবাসীর একাংশ তাঁর লাঞ্ছনা মোবাইল-বন্দি করতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনাচক্রে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে সাংবাদিক মুকুল কলিতার। শেষে তাঁর হস্তক্ষেপে পুলিশ এসে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

.