প্রত্যাহারে রেকর্ড দেরি, আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে মৌসুমি বায়ুর ঘরে ফেরা
পরিসংখ্যান তুলে ধরে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৫৮ বছরে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহারে এত দেরি কখনও হয়নি। এর আগে ১৯৬১ সালে ১ অক্টোবর ভারত ভূখণ্ডের ওপর থেকে মৌসুমিবায়ু প্রত্যাহার শুরু হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে ফিরতে চলেছেন বর্ষারানি। আগামিকাল ১০ অক্টোবর পশ্চিম রাজস্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ুর প্রত্যাবর্তন (monsoon withdrawal) শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর আগে এত দেরিতে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাবর্তনের নজির নেই। ইতিমধ্যেই সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে সে।
স্বাভাবিক ভাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিম রাজস্থান থেকে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহার শুরু হয়। এবছর তার প্রায় ৪০ দিন পর শুরু হতে চলেছে প্রত্যাবর্তন। ফলে গোটা অক্টোবর নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে উত্তর ভারতজুড়ে। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর -পশ্চিম ভারতে একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। সঙ্গে বাতাসে কমেছে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান। যার ফলে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৫৮ বছরে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহারে এত দেরি কখনও হয়নি। এর আগে ১৯৬১ সালে ১ অক্টোবর ভারত ভূখণ্ডের ওপর থেকে মৌসুমিবায়ু প্রত্যাহার শুরু হয়েছিল।
তবে এবারই প্রথম নয়, গত ৮ বছরে ৪ বার মৌসুমি বায়ু স্বাভাবিকের থেকে লক্ষ্যনীয় দেরিতে প্রত্যাহার হয়েছে যার ফলে মৌসুমি বায়ুর স্বাভাবিক গতিবিধির সংজ্ঞা বদলানো নিয়েও ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
চাওমিনে পেঁয়াজ নেই কেন? প্রশ্ন করায় বাবা-মেয়েকে বেধড়ক পেটাল দোকানদার
সাধারণত প্রতি বছর ১ জুন কেরলে প্রবেশ করে মৌসুমি বায়ু। ৮ জুন গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রবেশ করে মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা। ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয় মৌসুমি বায়ুর ফেরার পালা। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ বঙ্গ থেকে ফিরে যায় বর্ষা। আগামী ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহার হতে পারে বলে অনুমান। স্বভাবিকের থেকে প্রায় ১৫ দিন দেরিতে চলতি বছর ২০ জুন কলকাতায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা।