২৮ জানুয়ারি হাজিরা দিতে চেয়ে ইমেল মুকুলের, জবাব মেলেনি সিবিআই-এর তরফ থেকে
২৮ শে জানুয়ারি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে চান । বুধবার ইমেল করে সিবিআইকে এমনই জানালেন মুকুল রায়। যদিও সিবিআইয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
নয়া দিল্লি: ২৮ শে জানুয়ারি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে চান । বুধবার ইমেল করে সিবিআইকে এমনই জানালেন মুকুল রায়। যদিও সিবিআইয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
আদৌ মুকুল রায়ের এই সময়সীমা সিবিআই মেনে নেবে না অন্যকোনও উপায় অবলম্বন করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ১২ জানুয়ারি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের কাছে নোটিস পাঠায় সিবিআই। নোটিস পাওয়ার পরের দিনই সিবিআই দফতরে হাজির হন মুকুল রায়ের আইনজীবী। চাওয়া হয় ১৫ দিনের সময় সীমা। তবে সিবিআইয়ের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ১৫ দিন সময় দেওয়া কোনও মতেই সম্ভব নয়।
সিবিআইয়ের তরফে দেওয়া হয় সাতদিনের সময়সীমা। এরই মধ্যে বুধবার সিবিআইকে ইমেলের মাধ্যমে মুকুল রায় জানান ২৮ তারিখ হাজিরা দেবেন সিবিআইয়ে। বুধবারই তাঁকে দেওয়া সিবিআইয়ের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতার এহেন ইমেলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী চাপের মুখেই তড়িঘড়ি ২৮ তারিখ হাজিরার মেল পাঠালেন মুকুল রায়?
যদিও মুকুল রায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৩ তারিখ নেতাজির জন্মদিন, চব্বিশ তারিখ সরস্বতী পুজোর নানান অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রয়েছে উপনির্বাচনের গুরুভার। যাবতীয় কাজ সামলে সিবিআই দফতরে হাজিরার সময় হবে না তাঁর। মুকুল রায় জানিয়েছেন, ছাব্বিশ তারিখ রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ২৭ তারিখ সকালে ফিরবেন কলকাতায়। তারপরই, ২৮ তারিখ সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
অন্যদিকে, দিল্লিতে গিয়েও মুকুল রায়কে জেরা করতে পারে সিবিআই। আবার নতুন করেও নোটিস পাঠানো হতে পারে তাঁকে। এবিষয়ে কী হবে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই যুগ্ম অধিকর্তা বৈঠক করবেন সিটের কর্তাদের সঙ্গে। সেখানেই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সত্যিই কি মেনে নেওয়া হবে মুকুল রায়ের দেওয়া সময়সীমা? নাকি অন্য কোনও পথ দেখবে সিবিআই? এটা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।