উত্তরপ্রদেশে সংখ্যগরিষ্ঠতার দোরগোড়ায় মুলায়ম
পাঁচ বছরের ব্যবাধানে ফের ত্রিশঙ্কু বিধানসভার `ঐতিহ্য` ফিরতে চলছে উত্তরপ্রদেশে। যদিও মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধে ৫ বছরের `অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর`-এর ফসল ঘরে তুলে রাজ্য বিধানসভার ৪০৩ আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২০২-এর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।
পাঁচ বছরের ব্যবাধানে ফের ত্রিশঙ্কু বিধানসভার `ঐতিহ্য` ফিরতে চলছে উত্তরপ্রদেশে। যদিও মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধে ৫ বছরের `অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর`-এর ফসল ঘরে তুলে রাজ্য বিধানসভার ৪০৩ আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২০২-এর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। অন্য দিকে গতবারের আসনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকে নেমে গিয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে চলেছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি।
মঙ্গলবার সকালে ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতা অনুযায়ী চমকপ্রদ ফলের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত আশাভঙ্গ হয়েছে বিজেপি`র। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর `প্রচারঝড়` কার্যত অসার প্রমাণিত হয়েছে গোবলয়ের হৃদয়পুরে। সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে আসন বাড়লেও এবারও চতুর্থ স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। ভোটের ফলাফেল স্পষ্ট, জাঠ নেতা অজিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন আরএলডি`র হাত ধরে কোনও লাভ হয়নি কংগ্রেসের।
২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিএসপি ২০৬ এবং সমাজবাদী পার্টি ৯৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি, কংগ্রেস এবং আরএলডি প্রার্থীরা জিতেছিলেন যথাক্রমে ৫১, ২২ এবং ১০টি কেন্দ্রে। এবার অন্তত যাদব-সহ নানা পিছড়ে বর্গ এবং চিরাচরিত মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের পাশাপাশি বহিনজি-বিরোধী উচ্চবর্ণের উল্লেখযোগ্য অংশের সমর্থন পেয়েছেন মুলায়ম। আর তারই জেরে ১৯০-এর আশপাশে আসন পেতে চলেছে সমাজবাদী পার্টি। ফলে সরকার গড়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের যাদব কুলপতিকে আর কংগ্রেসের উপর নির্ভর করতে হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।