CAA নিয়ে মুসলিমদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, দশেরার বক্তৃতায় দাবি আরএসএস প্রধানের
দেশে দাঙ্গা বাঁধাতে পারলে সেই সব মানুষদের আখেরে সুবিধা হবে। এমনই জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
নিজস্ব প্রতিবেদন- সিএএ নিয়ে একমাত্র দাঙ্গাবাজ ও সুবিধাবাদীদের সমস্যা। দশেরার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর আরও দাবি, সিএএ নিয়ে কিছু মানুষ আসলে প্রতিবাদের নামে নাটক করছে। আর তারাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের এই নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। এসব কিছুই তারা করছে নিজেদের সুবিধার জন্য। দেশে দাঙ্গা বাঁধাতে পারলে সেই সব মানুষদের আখেরে সুবিধা হবে। এমনই জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
গত এক বছরে দেশে একের পর এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিন তাঁর বক্তৃতায় কখনো উঠে এসেছে ৩৭০ ধারা লোপের প্রসঙ্গ। কখনো আবার উঠে এসেছে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন বিবাদ। এদিন মোহন ভাগবত বলেছেন, ''গতবছর জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটেছে। গোটা দেশের মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাদরে গ্রহণ করেছেন। আর এই সিদ্ধান্তের ফলও পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। পরিসংখ্যান দেখুন। গত এক বছরে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।''
আরও পড়ুন- দার্জিলিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী! শত্রু দেশের নাকের ডগায় অস্ত্র পুজো সারলেন রাজনাথ সিং
চলতি বছর রাম মন্দির নির্মাণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেশবাসী মন থেকে গ্রহণ করেছে বলেও দাবি করেছেন মোহন ভাগবত। তিনি এদিনের বক্তৃতায় দেশবাসীর ধৈর্য ও সংবেদনশীলতার প্রশংসাও করেছেন। এদিন নাগপুরে তাঁর বক্তৃতা অনুষ্ঠানে মাত্র ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী উপস্থিত ছিলেন। করোনার আবহে এর থেকে বেশি জমায়েতের অনুমতি ছিল না। মোহন ভাগবত এদিন বলেছেন, সিএএ বিরোধী একের পর এক আন্দোলন দেশের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ও দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। করোনার আবহের জন্য সিএএ বিরোধীদের কুমতলবে জল পড়েছে। এই নিয়ে মুসলিমদের লাগাতার ভুল বোঝানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বিপদে ফেলার জন্য নয়। আসলে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই আইনের প্রণয়ন হয়েছে।