দার্জিলিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী! শত্রু দেশের নাকের ডগায় অস্ত্র পুজো সারলেন রাজনাথ সিং

রাজনাথ সিং এদিন জানিয়েছেন, ভারত সবসময়ই চিনের সঙ্গে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে তার দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Oct 25, 2020, 01:10 PM IST
দার্জিলিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী! শত্রু দেশের নাকের ডগায় অস্ত্র পুজো সারলেন রাজনাথ সিং

নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলা ও সিকিমে দুদিনের সফরে বেরিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার সকালে পৌঁছেছেন দার্জিলিংয়ে। সেখানে সুকনা যুদ্ধ স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন তিনি। এদিন বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন-এর তত্ত্বাবধানে থাকা বিকল্প এলাইনমেন্ট গ্যাংটক-নাথুলা রোডের উদ্বোধন করেছেন তিনি। প্রতিরক্ষার দিক থেকে বিচার করলে রাজনাথ সিংয়ের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিবাদের পর থেকেই সেনার মনোবল বাড়ানোর জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে হাজির হয়েছিলেন। জওয়ানদের মনোবল বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বক্তৃতাও রেখেছিলেন।

রাজনাথ সিং এদিন জানিয়েছেন, ভারত সবসময়ই চিনের সঙ্গে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে তার দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে রাখেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।  রাজনাথ সিং এদিন বললেন, বিআরও সিকিমের অধিকাংশ সীমান্তবর্তী সড়ক ডাবল লেন আপগ্রেডেশন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ইস্ট সিকিমে ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  সেনাদের কুর্নিশ জানাতে প্রতি ঘরে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর দাবি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

নর্থ সিকিমে ভারতমালা যোজনার অন্তর্গত মঙ্গন-চুমথাং-ইউমেসেমদাং-লোচন-জিমা-মুঙ্গুথাং-নাকুলা পর্যন্ত বিস্তৃত ২২৫ কিলোমিটার রাস্তা ডাবল লেন করার কাজ চলছে। নটি প্যাকেজের মাধ্যমে এই কাজ শেষ করা হবে। খরচ হবে আনুমানিক ৫৭১০ কোটি টাকা। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অস্ত্র পুজো করেছেন। সেনার আধিকারিক ও জওয়ানরা তাঁর সঙ্গে অস্ত্র পুজোয় হাজির ছিলেন। যে জায়গায় তিনি অস্ত্র পুজো করলেন সেটি নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। প্রতি বছরই বিজয়া দশমীর দিন অস্ত্র পুজো করার নিয়ম রয়েছে। চিনের সঙ্গে বিবাদের সময়েও এই পরম্পরায় ছেদ পড়েনি।

.