CAA-র বিরোধীদের মুখের ওপরে জবাব দিয়েছে নানকানা সাহিবে হামলা, কেজরি-রাহুলকে নিশানা অমিত শাহর

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অপপ্রচারের জন্য সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেস মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে

Updated By: Jan 5, 2020, 05:20 PM IST
CAA-র বিরোধীদের মুখের ওপরে জবাব দিয়েছে নানকানা সাহিবে হামলা, কেজরি-রাহুলকে নিশানা অমিত শাহর

নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে দলের সভা থেকে  নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। এবার তাঁর হাতিয়ার পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে জনতার হামলা।

আরও পড়ুন-বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার

শুক্রবার পাকিস্তানে গুরু নানকের জন্মস্থান নানকানা সাহিব গুরুদ্বারটিকে ঘিরে ধরে জনতা।  গুরুদ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গুরুদ্বার লক্ষ করে পাথরও ছোড়া হয়।  সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে অমিত শাহ বলেন, সোনিয়াজি, রাহুলজি, কেজরিওয়ালজি চোখ খুলে দেখুন পাকিস্তানে নানকানা সাহিবে কী ভাবে হামলা করা হয়েছে। নাগরিকরত্ব আইনের যারা বিরোধিতা করছে এটা তাদের মুখের ওপরে জবাব। আক্রান্ত ওইসব শিখরা যাবে কোথায়!

প্রসঙ্গত, রবিবার পাকিস্তানের প্রথম শিখ টিভি অ্যাঙ্কারের ভাইকে খুন করে আততায়ীরা। ফলে ফের ফের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল পাকিস্তানে। ইমরান খান অবশ্য বলেছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।

এদিনের সভায় চুরাশির শিখ বিরোধী হিংসার প্রসঙ্গ টেনে আনেন শাহ। বলেন, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।  কংগ্রেস দেয়নি। এদিন সিএএ সাপোর্ট হেল্পলাইন নম্বর সম্পর্কেও ভ্রান্তি দূর করে দেন অমিত শাহ। ওই নম্বর দিয়ে তিনি বলেন, এই নম্বরটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটি নেটফ্লিক্সের নম্বর।  আসলে এটি বিজেপির টোল ফ্রি নম্বর।

আরও পড়ুন-ইরান-মার্কিন সংঘাতের প্রভাব! টানা ৪ দিন বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অপপ্রচারের জন্য সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেস মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। দেশের কোনও মুসলিম নাগরিকত্ব হারাবেন না। এই আই নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।

.