বোঝানোর চেষ্টা করছি, হুমকির দরকার পড়ে না, BJP কর্মী খুন প্রসঙ্গে মোদী
বিহারের জয় উদযাপনের মঞ্চ থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উপলক্ষ্য, বিহারের জনতাকে ধন্যবাদজ্ঞাপন ও জয়ের উদযাপন। সেই মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের হত্যার প্রসঙ্গে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু বার্তাই নয়, বরং বাক্যের কৌশলে নরমে-গরমে সমঝেও দিলেন। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী বলেন,''গণতন্ত্রে ভরসা নেই অনেকের। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এঁটে উঠতে না পেরে দেশের কয়েকটি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের খুন করে লক্ষ্যপূরণ করতে চাইছে।''
কারও নাম নেননি। তবে প্রত্যয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি এখন। হুমকি দেওয়ার দরকার নেই। ওটা জনতা দেখে নেবে। নির্বাচন আসবে, যাবে। গণতন্ত্রে জয়, পরাজয় হতে থাকে। কিন্তু এই মৃত্যুর খেলা গণতন্ত্র চলতে পারে না। মৃত্যুর খেলায় কেউ সমর্থন পায় না। দেওয়াল লিখন পড়ে নিন।''
'जो लोग लोकतांत्रिक तरीकों से मुकाबला नहीं कर पा रहे हैं, चुनौती नहीं दे पा रहे हैं,
ऐसे कुछ लोगों ने भाजपा के कार्यकर्ताओं की हत्या करने का रास्ता अपनाया है।
मैं उन सभी को आग्रह पूर्वक समझाने का प्रयास करता हूं।
मुझे चेतावनी देने की जरूरत नहीं है, वो काम जनता-जर्नादन करेगी।' pic.twitter.com/FJZ60mV5wh
— BJP (@BJP4India) November 11, 2020
প্রধানমন্ত্রীর এহেন বার্তায় বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, বিহারের জয় উদযাপনের দিন কি বাংলাকে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী? কেন এমনটা মনে হচ্ছে? বাংলায় বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। অতিসম্প্রতি অমিত শাহ বলেছিলেন, কেরলের অবস্থাও আগের ভালো হয়েছে। কিন্তু বাংলায় বিরোধী কর্মীদের হত্যা চলেই যাচ্ছে। ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা। সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে। তা সঙ্গত দাবি। আগামী বছরের শুরুতেই বাংলায় নির্বাচন। বিহার জয়ের পর এবার মোদী-শাহের লক্ষ্য বাংলা। ফলে দুই-দুইয়ে চার করাই যায়। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, কারও নাম না নিলেও বাক্যের কৌশলে অনেক কিছুই বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু ও রাজীব-সহ ৪ মন্ত্রী গরহাজির নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে