মোদীর আমলে আর শহরে কাজ করতে আসব না, রাহুলকে পেয়ে ক্ষোভ উগরালেন পরিযায়ী শ্রমিকরা
দেশের ১৩ কোটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি তেলেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানা থেকে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি যাওয়ার পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের হঠাৎ দেখা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। আর তারপরই বদলে গেল তাঁদের বাকি পথের কাহিনিও। রাহুল গান্ধী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কথোপকথন দিয়ে শুরু হয় চিত্রনাট্য । লকডাউন, করোনা সংক্রমণ, রুটি রুজি নিয়ে রাহুলের নানা কৌতূহল ভরা প্রশ্ন। আর তার উত্তর দিতে গিয়ে মোদী সরকারের উপর কখনও ক্ষোভ, কখনও অনুযোগ কখনও শ্লেষ উগরে দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন-আমফান বিধ্বস্ত বারুইপুরে যেতে 'বাধা' দিলীপকে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে একাধিক জখম
পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরতে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। যাঁরা হরিয়ানায় ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। লকডাউন জেরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ। ভাড়া বাড়িতে থেকে এক মাস ভিন রাজ্যে কাটানো তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি পেয়েছে। বাধ্য হয়েই সপরিবারে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। রাহুলকে এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, গতকাল রাতে হাঁটা শুরু করেছি। এক দুই কিলোমিটার অন্তর বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটা দিচ্ছি। আমাদের সঙ্গে বাচ্চা থাকায় দ্রুত হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। এক মহিলা জানান, পেটে খিদে নিয়ে সারাক্ষণ হেঁটে চলেছি।
রাহুলের প্রশ্ন, লকডাউন নিয়ে আপনারদের কী মত? তাঁদের কথায়, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের ভাবা উচিত ছিল। আরও কয়েক দিন সময় দিতে পারতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এক মহিলা জানান, মোদী যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন শহরে তাঁরা কাজ করতে আসবেন না। গরিবের কথা ভাবেন না মোদী। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে সরকারের ব্যর্থতা তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেন, আপনাদের কাঁধে এই দেশের দায়িত্ব । সরকারে উচিত শ্রমিকদের দায়িত্ব নেওয়ার। দেশের ১৩ কোটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি তেলেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিদ্যুৎহীন শহর থেকে জেলা! CESC-র ভূমিকায় রুষ্ট, সংস্থার একাধিপত্য নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
সব শেষে রাহুলের প্রশ্ন, আপনাদের জন্য আমি কী করতে পারি? এ যেন লাখ টাকার লটারি পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে। তবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ছাড়া আর কেমন কিছু চেয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বাকি পথ আর কন্টকময় ছিল না। বাড়ি পৌঁছে রাহুলকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।