Gorakhnath Temple: গোরক্ষনাথ মন্দিরে নিরাপত্তারক্ষীর উপরে হামলা, আইআইটি স্নাতককে মৃত্যুদণ্ড এনআইএ আদালতের
উত্তরপ্রদেশ এটিএস তার তদন্তে জানায় বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নাইকের অনুগামী আব্বাসি। তদন্তের সময় আব্বাসির ল্য়াপটপ ও পেন ড্রাইভ থেকে জিহাদি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। আব্বাসি গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। কিন্তু তার কাছ থেকে যে আধারকার্ড উদ্ধার হয়েছে তা মুম্বইয়ে তৈরি করা
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে হামলায় দোষী সাব্যস্ত আইআইটি স্নাতক আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসি। তাকে প্রাণদণ্ডের সাজা দিল লখনউয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। আব্বাসির বিরুদ্ধে ইউএপিএস ধারার অভিযোগ আনে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। এনিয়ে টানা ৬০ দিন শুনানি হয় আদালতে। তার পরেই ওই সাজা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন-হাতে মমতার দেওয়া সরকারি নথি, জমি বিতর্কে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন
পুলিসের অভিযোগ ছিল ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল জোর করে গোরক্ষনাথ মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করে আব্বাসি। তাতে বাধা দিলে মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে সে। হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে ২ পিসিএ জওয়ানের উপরে হামলা চালায় আব্বাসি। তাকে কাবু করে গ্রেফতার করে অন্য়ান্য জওয়ানরা। এনিয়ে তদন্ত চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস। ওই ঘটনার সময়ে উত্তরপ্রদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গোরক্ষপুর মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে হামলার পেছনে এক বিরাট ষড়যন্ত্র রয়েছে। এখনওপর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে তাতে বলা যেতে পারে এটি একটি জঙ্গি হামলা।
প্রসঙ্গত, গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও প্রায়ই তিনি এই মন্দিরে আসেন। শনিবার আব্বাসিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
উত্তরপ্রদেশ এটিএস তার তদন্তে জানায় বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নাইকের অনুগামী আব্বাসি। তদন্তের সময় আব্বাসির ল্য়াপটপ ও পেন ড্রাইভ থেকে জিহাদি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। আব্বাসি গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। কিন্তু তার কাছ থেকে যে আধারকার্ড উদ্ধার হয়েছে তা মুম্বইয়ে তৈরি করা।
এদিকে, আব্বাসির বাবা মুনির আব্বাসি অবশ্য দাবি করেন, ওর মানসিকভাবে সুস্থ নয়। ছোটবেলা থেকেই ও হতাসায় ভোগে। এরজন্য চিকিত্সাও হচ্ছে। সম্প্রতি ওর মনে হয়েছিল পুলিস ওকে ফলো করছে। পুলিসকে আক্রমণ করার পেছনে ওর কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ওই মানসিক সমস্যা থেকেই ও সবকিছু করেছে।
কে এই আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসি? উত্তর প্রদেশ পুলিস সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে মুম্বই আইআইটি থেকে কেমিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন মুর্তাজা। তারপর দুটি কোম্পানিতে কাজও করেন। কিন্তু মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০১৭ সালে তাকে চাকরি ছাড়তে হয়। তার চিকিত্সাও শুরু হয়। তাঁকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্ত্রী।
ঘটনার পরপরই উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার এনিয়ে বলেন, আব্বাসির সঙ্গে আইসিসি ও ওই জঙ্গি সংগঠন ঘনিষ্ঠদের যোগাযোগ ছিল। তার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে সে সাড়ে আট লাখ টাকা আইসিসিকে পাঠিয়েছিল। একে ৪৭, এম৪ এর মতো অস্ত্রের টেকনোলজি সে অনেককে পাঠিয়েছিল।