Nitin Desai Death Case | DNA Exclusive: ঋণের জালে ফেঁসে নিতিন দেসাইয়ের মৃত্যুতে নজরে ফাইন্যান্স সংস্থা
Nitin Desai Death Case | DNA investigation: এখন Edelweiss-এর তরফে যে সাফাই-ই পেশ করা হোক না কেন, তা থেকে কখনই এই সত্যিটা বদলে যায় না যে ওই কোম্পানির আধিকারিকদের হয়রানির কারণেই নিতিন দেসাইয়ের প্রাণ চলে গেল। ভাবনার বিষয় এই যে যখন এত নামী আর্ট ডিরেক্টর ফাইনান্স কোম্পানির জালে ফেঁসে আত্মহত্যা করতে পারেন তখন একজন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো | DNA Exclusive: নিতিন দেসাইয়ের শেষ অডিও মেসেজ এখন এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। যা থেকে প্রমাণিত হয় যে Edelweiss কোম্পানির আধিকারিকরা ষড়ষন্ত্র করে নিতিন দেসাইয়ের উপর এত বেশি চাপ তৈরি করে যে উনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এখন পুলিস FIR-এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ৫ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
কিন্তু Edelweiss কর্তৃপক্ষ এখনও মনে করে যে তাদের আধিকারিকরা কোনও ভুল করেনি। মেইল মারফত Zee News-কে এর জবাব দিয়েছে Edelweiss। সেখানে কোম্পানির তরফে দাবি করা হয় যে Edelweiss ARC রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সব জরুরি নিয়ম ও আইনি প্রক্রিয়া পালন করেছে। কোম্পানির মতে, নিতিন দেসাইয়ের কাছ থেকে সুদের হারও খুব বেশি নেওয়া হয়নি বা টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁর উপর কোনও চাপও তৈরি করা হয়নি। কোম্পানির তরফে বলা হয় যে টাকা উদ্ধারের যে নিয়ম সেই নিয়মেরই পালন করা হয়েছে।
এখন Edelweiss-এর তরফে যে সাফাই-ই পেশ করা হোক না কেন, তা থেকে কখনই এই সত্যিটা বদলে যায় না যে ওই কোম্পানির আধিকারিকদের হয়রানির কারণেই নিতিন দেসাইয়ের প্রাণ চলে গেল।
ভাবনার বিষয় এই যে যখন এত নামী আর্ট ডিরেক্টর ফাইনান্স কোম্পানির জালে ফেঁসে আত্মহত্যা করতে পারেন তখন একজন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে!
নিতিন দেসাইয়ের মতো এত বড়মাপের আর্ট ডিরেক্টরকেও ঋণের জালে ফেঁসে আত্মহত্যা করতে হল। লোন প্রোভাইডার কোম্পানি, যারা তোলাবাজি দলের পর্যায়ে চলে গেছে, তাদের এহেন হাভভাব নিয়েও চর্চ্চা শুরু হয়েছে। নইলে সত্যিটা তো এটাই যে আমাদের দেশে প্রতিদিন অনেক লোক, এরকম ফিনান্সিয়াল কোম্পানির শিকার হয় ও আত্মহ্ত্যা করতে বাধ্য হয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো তথা NCRB-র পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় যে ঋণের কারণেই প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার লোক আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: 'আজ যদি বাংলা ভারতের মধ্যে থাকে, তো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্য আছে'
২০২০ সালে ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন ৫ হাজার ২১৩ জন। সেই হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৯ সালেও ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন ৫ হাজার ৯০৮ জন।
আর এই ঋণের ফাঁদে শুধু সমাজের দরিদ্ররাই যে প্রাণ হারাচ্ছেন তা কিন্তু একদমই নয়। বলিউডের বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর নিতিন দেসাইয়ের আত্মহত্যা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
তাই আপনাকে এটা জানতে হবে যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করার জন্য কোনও ব্যাঙ্ক বা ফিনান্সিয়াল কোম্পানির কর্মকর্তা বা রিকভারি এজেন্ট আপনাকে ভয় দেখাতে বা হুমকি দিতে পারে না। লোন রিকভারি এজেন্ট সম্পর্কিত আরবিআই-এর নির্দেশিকা রয়েছে।
সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা বা রিকভারি এজেন্ট ঋণ গ্রাহককে যেকোনও কর্মদিবসে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফোন করতে পারে বা তাঁর বাড়িতে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: Manipur: মণিপুর-তদন্তে বেনজির সুপ্রিম-নির্দেশ! ৩ মহিলা বিচারপতির কমিটি, থাকবে ৪২ টিম...
ঋণের পরিমাণ পুনরুদ্ধারের জন্য প্রথমে ব্যাঙ্ক বা ফিনান্সিয়াল কোম্পানি গ্রাহকদের রিকভারি এজেন্ট বা এজেন্সি সম্পর্কে অবহিত করবে।
রিকভারি এজেন্ট গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় অবশ্যই ব্যাঙ্কের নোটিসের একটি কপি সঙ্গে রাখবে।
কিন্তু অনেক সময়ই ব্যাঙ্ক বা ফিনান্সিয়াল কোম্পানিগুলো নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে।
আপনিও যদি ঋণের ফাঁদে আটকা পড়ে থাকেন এবং ব্যাঙ্ক বা ফিনান্সিয়াল কোম্পানির পুনরুদ্ধারকারী দল আপনাকে বিরক্ত করে, তাহলে আপনি ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন, 1800-11-4000-এ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন।