মোদীতে আপত্তি নীতীশের, ফের প্রকাশ্যে এনডিএ অন্তর্দ্বন্দ্ব

প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নামে ফের তীব্র আপত্তি জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নিজের আপত্তির কথা ইতিমধ্যেই বিজেপি সভাপতিকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। আর এর জেরেই ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে এনডিএ-র অন্তর্দ্বন্দ্ব।

Updated By: Aug 5, 2012, 05:00 PM IST

প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নামে ফের তীব্র আপত্তি জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নিজের আপত্তির কথা ইতিমধ্যেই বিজেপি সভাপতিকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। আর এর জেরেই ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে এনডিএ-র অন্তর্দ্বন্দ্ব। বিজেপি অবশ্য সতর্ক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তাই শুরু হয়নি দলের অন্দরে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে সংঘাত শুরু। প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে নিজের রাজ্যে ঢুকতেই দেননি নীতীশ কুমার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সেই তিক্ততা। শরিকি সংঘাতের ছাপ পড়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও। সাংমাকে সমর্থন ইস্যুতে জেডিইউকে পাশে পায়নি বিজেপি। এবার দুহাজার চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও মোদী বিরোধিতার সুর চড়া করলেন নীতীশ কুমার। ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্নে মোদীর স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর সেই কারণে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করা নিয়ে নিজের আপত্তির কথা বিজেপি সভাপতিকে জানিয়েও এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
শরিকের এই দাবি স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নেমেছেন এনডিএ আহ্বায়ক।
মোদী-নীতীশের এই সংঘাতের মধ্যেই নিজের ব্লগে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে নিজের ধারণা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তাঁর মতে, ২০১৪ সালে অকংগ্রেসি অবিজেপি প্রধানমন্ত্রী পেতেই পারে দেশ। মোদীকে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে তুলে ধরা নিয়ে আগেই নিজেদের অপছন্দের কথা স্পষ্ট করেছেন আডবাণী-সুষমা স্বরাজরা। যদিও আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবারের সমর্থন রয়েছে মোদীর পক্ষে। তবে একদিকে নীতীশের আপত্তি, অন্যদিকে আডবাণীর অকংগ্রেসী, অবিজেপি প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে জল্পনা উস্কে দেওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। অস্বস্তি আরও বেড়েছে কেশুভাই প্যাটেল দল ছাড়ায়। শনিবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ছেড়েছেন তিনি। নতুন দল গড়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়েও নামছেন কেশুভাই। ফলে, দলের ভিতরে বাইরে এখন রীতিমতো চাপের মুখে নরেন্দ্র মোদী।

.