Delhi Murder: উপেক্ষার বদলা কিশোরীকে ২২ বার কুপিয়ে খুন! একটা ফোনই ধরিয়ে দিল 'অনুতাপহীন' প্রেমিককে
দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় সে অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৬ বছরের ওই কিশোরী উপর। সবার চোখের সামনেই ছুরি দিয়ে ২২ বার কোপায় ওই কিশোরীকে। তারপর ফিরে যায়। তারপর একটা পাথর তুলে নিয়ে আসে। সেই পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ওই কিশোরীর মাথাও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিশোরী প্রেমিকাকে ২২ বার কুপিয়ে খুন। তারপর পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় মাথাও। কিন্তু তাতে কোনও অনুশোচনা নেই অভিযুক্ত বয়ফ্রেন্ডের। সাহিল নামে ওই যুবকের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, "এর জন্য কোনও অনুতাপ নেই। ও আমাকে উপেক্ষা করেছিল।" পুলিস সূত্রে খবর, সম্প্রতি ওই কিশোরী অভিযুক্ত সাহিলের সঙ্গে ব্রেক আপ করে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে ফিরতে চেয়েছিল। আর তাতেই আক্রোশে মদ্যপ অবস্থায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বছর কুড়ির সাহিল।
ভিডিয়ো ফুটেজে ধরা পড়েছে, দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় সে অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৬ বছরের ওই কিশোরী উপর। সবার চোখের সামনেই ছুরি দিয়ে ২২ বার কোপায় ওই কিশোরীকে। তারপর ফিরে যায়। তারপর একটা পাথর তুলে নিয়ে আসে। সেই পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ওই কিশোরীর মাথাও। এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকে সবাই। তবে কেউ-ই ওই কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। রবিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী যখন তার একটি জন্মদিনের পার্টিতে যাচ্ছিল, তখনই সাহিল তার উপর চড়াও হয়। নৃশংসভাবে তাকে খুন করে সে।
কিশোরী প্রেমিকাকে খুনের পর সেই জায়গা থেকে চম্পট দেয় সাহিল। খুনের তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিস অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেও, প্রথমেই তার নাগাল পায়নি পুলিস। শেষে একটি ফোনের সূত্র ধরে সাহিলকে খুঁজে বের করে পুলিস। তারপর তাকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর নিজের ফোন বন্ধ করে দেয় সাহিল। তারপর বাসে করে বুলন্দশহরে পৌঁছয়। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে সে। সেখানে পৌঁছে সে তার বাবাকে ফোন করে।
এখন তার ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। নজরদারি রাখা হয়েছিল তার গতিবিধির উপর। যার জেরে ওই এক ফোনেই পুলিসের রাডারে ধরে পড়ে সাহিলের অবস্থান। তারপরই পুলিস সাহিলকে ধরতে সক্ষম হয়। পুলিসি জেরায় সাহিল নিজের অপরাধ কবুলও করেছে। সেইসঙ্গে সে এও জানিয়েছে যে, এই খুনের জন্য তার মনের মধ্যে কোনওরকম কোনও অনুশোচনা নেই।
আরও পড়ুন, Manipur Violence, Amit Shah: ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অমিত শাহের!