দেশের প্রথম অ্যাঙ্করহীন চ্যানেল, নতুন ভাবে পথ চলা শুরু করল Zee হিন্দুস্তান
এদিন ভারতীয় সংবাদ জগতে যুগান্তকারী এই ঘোষণা করে ড. চন্দ্র বলেন, এখন খবরের চ্যানেল খুললেই অ্যাঙ্করের দেখা মেলে। কখনো প্রণয় রায়, কখনো বিনোদ দুয়া, রজত শর্মা ও সুধীর চৌধুরিকে আমরা টিভিতে দেখতে পাই। অ্যাঙ্কর যতই নিরপেক্ষ হোন না কেন তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস সংবাদ পরিবেশনে প্রভাব ফেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজেদের জনপ্রিয় হিন্দি খবরের চ্যানেল জি হিন্দুস্তানের রিলঞ্চ করল জি মিডিয়া গোষ্ঠী। নতুন রূপে এই চ্যানেল গোটা দেশে সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে বলে আশাবাদী জি মিডিয়া। দেশের প্রথম অ্যাঙ্করহীন চ্যানেল হিসাবে এদিন আত্মপ্রকাশ করল জি হিন্দুস্তান। এই চ্যানেলে দেখা যাবে না কোনও অ্যাঙ্করকে। চ্যানেলের রিলঞ্চ করে রাজ্যসভার সাংসদ ড. সুভাষ চন্দ্র বলেন, জি গোষ্ঠীর ১৩টি খবরের চ্যানেল রয়েছে। তাই আমরা এমন একটা চ্যানেলের কথা ভেবেছি যেখানে শুধুই খবর দেখা যাবে। এই চ্যানেলে 'অখণ্ড দেশ, একটানা খবর' থিমের ওপর কাজ করবে। তাঁর কথায়, এই পথ ধরে ভারতের বৈচিত্রময় ঐক্যকে আরও নিবিড় বুননে বাঁধবে জি হিন্দুস্তান।
এদিন ভারতীয় সংবাদ জগতে যুগান্তকারী এই ঘোষণা করে ড. চন্দ্র বলেন, এখন খবরের চ্যানেল খুললেই অ্যাঙ্করের দেখা মেলে। কখনো প্রণয় রায়, কখনো বিনোদ দুয়া, রজত শর্মা ও সুধীর চৌধুরিকে আমরা টিভিতে দেখতে পাই। অ্যাঙ্কর যতই নিরপেক্ষ হোন না কেন তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস সংবাদ পরিবেশনে প্রভাব ফেলে। সেজন্যই সংবাদ পরিবেশনে অ্যাঙ্করের ভূমিকায় দাড়ি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
রাজ্যসভার সাংসদ সুভাষ চন্দ্র বলেন, 'এখন ক্যামেরা শুধু খবর দেখাবে। ক্যামেরা যে মিথ্যে কথা বলে না তা জানেন দর্শকরা। তাই অ্যাঙ্করের কণ্ঠের আর কোনও প্রয়োজন নেই। দর্শকের তথ্য জানার অধিকার পূরণ করবে জি হিন্দুস্তান।'
এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন ড. চন্দ্র। তিনি বলেন, 'এতদিন ধরে ইংরাজি বলা বুদ্ধিজীবীরা দেশ চালাচ্ছেন। তাঁরা ভুলে যান, ইন্ডিয়ার বয়স মাত্র ৭২ বছর।, যেখানে ভারতের ইতিহাস ৬,০০০ বছরের পুরনো। ভারতের একটি স্বর্ণালী অতীত রয়েছে। কিন্তু বইয়ে সেসব জায়গা পায় না। জি হিন্দুস্তান ভারতের ইতিহাসের সেই সোনালি পাতাগুলো উলটাবে, যাতে বর্তমান প্রজন্ম নিজের দেশকে নিয়ে গর্বিত হয়। স্বর্ণালী সেই ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই প্রজন্ম।'
তিনি বলেন, 'জি হিন্দুস্তান বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে গৌরবময় অতীতের সেতুবন্ধ তৈরি করবে। জি হিন্দুস্তান দেখলে তাদের মনে হবে, ভারতও বিশ্বসেরা হতে পারে।'
'এক সুতোয় বাঁধা হিন্দুস্তান' ও 'আর অ্যাঙ্কর নয়, খবর কথা বলবে' সূত্র বাক্য মেনে চালিত এই খবরের চ্যানেল থেকে অনেক অজানা কাহিনী জানতে পারবেন দর্শকরা। এই চ্যানেলে সংবাদ বুলেটিনের দৈর্ঘ্য আধ ঘণ্টার জায়গায় ১০ মিনিট করা হয়েছে। ড. সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, এই চ্যানেলে খবর পরিবেশন হবে গোটা ভারতের প্রেক্ষিতে। কোনও রাজ্যকে বঞ্চিত করবে না জি হিন্দুস্তান।
যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ তাঁদের কেমন লাগছে তা দর্শকদের জানাতে অনুরোধ করেছেন ড. চন্দ্র। সংবাদ পরিবেশনে কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে তা নিঃসংকোচে জানাতে বলেছেন তিনি।
এর আগে নিজের বক্তব্যে জি হিন্দুস্তানকে শুভেচ্ছা জানান জি মিডিয়া গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশোক ভেঙ্কটরমানি। তিনি বলেন, বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে এখন খবরের চ্যানেলে খবরের থেকে বেশি মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে দর্শকরা মতামত নয়, খবর চান। খবর দেখে দর্শকরা নিজেরাই নিজেদের মতামত তৈরি করবেন। তাদের ওপর কোনও দৃষ্টিকোণ চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।