Opposition Protests: `দয়া করে রক্ত বাঁচান`, কেন আর্তি আপ এবং কংগ্রেস নেতার?
রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২০ জন সাংসদকে। এছাড়াও চার জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে লোকসভা থেকে। সাম্প্রতিক অতীতে একসঙ্গে এতজন সাংসদ আগে বরখাস্ত হননি। ৫০ ঘন্টার দীর্ঘ অবস্থান, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ শেষ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সংসদ চত্বরের ভিতরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে এই অবস্থান চলছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংসদ থেকে বরখাস্ত হওয়া বিরোধী সাংসদরা বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ শুরু করেছেন। সংসদ চত্তরে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটিয়েছেন তারা। তাদের দাবি মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি বৃদ্ধির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নয় কেন্দ্রিয় সরকার। ৫০ ঘন্টার দীর্ঘ অবস্থান, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ শেষ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সংসদ চত্বরের ভিতরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে এই অবস্থান চলছে।
অনেক সাংসদই রাতের বেশির ভাগ সময় আড্ডা দিয়ে, গান গেয়ে সময় কাটিয়েছেন। আর্দ্র আবহাওয়া এবং মশার উপদ্রব তাদেরকে সমস্যায় ফেলেছে বলেও জানিয়েছেন তারা। সাসপেন্ড করা কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। প্রতিবাদি এক সাংসদের হাতে বসে থাকা একটি মশার ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।
এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মোট ২০ জন সাংসদকে। বুধবার বিকেলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিন তাঁরা। এইবার প্রথম সংসদের উচ্চকক্ষে একসঙ্গে এতজন সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন।
আপ নেতা সঞ্জয় সিংকে বুধবার বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও মঙ্গলবার আরও ১৯ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। ২০ জন সাংসদের মধ্যে সাতজন টিএমসি, ছয়জন ডিএমকে, তিনজন টিআরএস, দুইজন সিপিএম এবং একজন করে সিপিআই এবং আপের সাংসদ।
বহিষ্কৃত সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, সান্তনু সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, মহম্মদ নাদিমুল হক; ডিএমকে-এর কানিমোঝি, এনভিএন সোমু, এম হামামেদ আবদুল্লা, এস কল্যাণসুন্দরম, আর গিরঞ্জন, এনআর এলাঙ্গো, এম শানমুগাম; টিআরএস-এর বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবিন্দ্র ভাদ্দিরাজু, দামোদর রাও দিভাকোন্ডা; সিপিআইএম-এর এ.এ. রহিম, ভি শিবদাসন; এবং সিপিআই-এর সন্দোষ কুমার পি।
আরও পড়ুন: হাথরাসকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে চাকরি দিতে হবে, যোগী সরকারকে ৩ মাসের সময়সীমা দিল আদালত
রাজ্যসভার ২০ জন সাংসদ ছাড়াও চারজনকে লোকসভা থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা সাংসদরা হলেন কংগ্রেসের মানিকম ঠাকুর, রাম্য হরিদাস, টিএন প্রথাপন এবং এস জথিমনি। হাউসে প্ল্যাকার্ড দেখানোর জন্য ২৬ জুলাই তাদের বাকি অধিবেশন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে ওই ধরনা। শেষ হবে আগামী শুক্রবার বেলা ৫টায়। ওই ধরনার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে রোস্টার। কে কখন গান্ধী মূর্তির নীচে ধরনার বসবে তা ঠিক করে ফেলেছে রাজনৈতিক দলগুলি।