মর্মান্তিক: বিয়েবাড়ি থেকে ১১১ জনের কোভিড পজিটিভ, মৃত্যু বরের
বিয়ে করতে আসার দিনই শরীর একদমই ভাল ছিল না পাত্রের। জ্বর ও ডায়েরিয়া নিয়েই বিয়ে করতে যান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আনলকের পরেও জারি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম। তবে তা মানছেন না অনেকেই। আর তার ফল যে কত মর্মান্তিক হতে পারে তার প্রমাণ মিলল বিহারে। সম্প্রতি সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১১ জন নিমন্ত্রিত। এমনকি বিয়ের এক দিন পরেই কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন সদ্য বিবাহিত বর।
গত ১৫ জুন পাটনার পালিগঞ্জের সেই বিয়েবাড়িতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫০ আমন্ত্রিত। বিয়ে উপলক্ষ্যে গুরুগ্রাম থেকে গাড়িতে করে পাটনার বাড়িতে এসেছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার পাত্র।
সূত্রের খবর, বিয়ে করতে আসার দিনই শরীর একদমই ভাল ছিল না পাত্রের। জ্বর ও ডায়েরিয়া নিয়েই বিয়ে করতে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বিয়ের পিঁড়িতে বসে তাঁর শরীর খারাপ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। তবুও তাঁকে সাধারণ জ্বর, পেট ব্যাথার ওষুধ খেয়ে বিয়ে সারতে বলা হয়। বিয়ের পর পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে তাঁকে শেষমেষ পাটনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে, সেখানেও তাঁকে ডায়েরিয়ার চিকিত্সা করা হয়। করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও কোভিড টেস্ট বা চিকিত্সার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। পরের দিনই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। দেহের করোনা টেস্টের ব্যবস্থার আগেই সত্কার সেরে ফেলে তাঁর পরিজনরা।
ইতিমধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যায় সেদিন বিয়েবাড়িতে বহু আমন্ত্রিতদের মধ্যে। বহুজনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতদের তালিকা ধরে ট্র্যাক করা হয়। বিয়েতে ও শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া প্রায় ৪০০ ব্যক্তির টেস্ট করা হয়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাঁদের সকলকে আইসোলেশনে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যেখানে বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিত থাকার কথা নয়, সেখানে এতজন অতিথি নিয়ে কিভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কেন খবর ছিল না তাই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ১৫ জনের, জেনে নিন আপনার জেলার পরিস্থিতি