Asaduddin Owaisi : "আমরাই গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করি", মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ওয়াইসির
ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরব মোহন ভগবত। এদিন আরএসএস প্রধানের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওয়েইসি ভগবতকে দেশের মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজয়া দশমীর বক্তৃতা মঞ্চ থেকে ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরব হন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (RSS chief Mohan Bhagwat)। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, 'ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের অসাম্য ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যার জন্য সংস্থান প্রয়োজন, তা না থেকে যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তবে সেটা বোঝা হয়ে ওঠে। দেশের হিতে তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রয়োজন।' এদিন আরএসএস প্রধানের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (AIMIM chief Asaduddin Owaisi)। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওয়েইসি ভগবতকে দেশের মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'আতঙ্কিত হবেন না, মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে না, বরং কমে যাচ্ছে... তাহলে কে সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছে? আমরাই। তবে মোহন ভগবত এই বিষয়ে কোনও কথা বলবেন না।'
আরও পড়ুন, জানেন কি হিন্দু ধর্মাচরণে ব্যবহৃত সৈন্ধব লবণ আসে পাকিস্তান থেকে?
#WATCH | On RSS chief Mohan Bhagwat's statement that there's a religious imbalance in India, AIMIM chief Asaduddin Owaisi says, "Don't fret, Muslim population is not increasing, it's rather falling... Who's using condoms the most? We are. Mohan Bhagwat won't speak on this." pic.twitter.com/kcaYLaNm7A
— ANI (@ANI) October 8, 2022
আরএসএস প্রধান এদিন বলেন, 'ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য বদলে যাওয়ায় সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান, সার্বিয়া ভেঙে কসোভো এবং ইন্দোনেশিয়া ভেঙে পূর্ব তিমোরের মতো নতুন দেশ গঠিত হয়েছে।' ভারতও যাতে সেদিকে না এগিয়ে যায় তাই এখনই জনসংখ্যা নীতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি এবং জানান, এই নীতি সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনে মাঠে নেমেছিলেন সংঘপ্রধান। বেশ কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। তারপর আবার বর্ণভেদ, জাতিভেদ তুলে নিয়ে বস্তুত দলিতদের কাছে টানার বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, অতীতে অবশ্যই ভুল হয়েছে। সেই ভুলগুলি স্বীকার করতে আমাদের কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভুল করেছেন, এই সত্য মেনে নিলে অভিযোগের গুরুত্ব কমে যাবে।
পাশাপাশি সংরক্ষণ নিয়েও সওয়ার করেন তিনি। সংরক্ষণের সুবিধা তুলে নেওয়ার পক্ষে কথা বলে তাঁর দাবি, এরফলে মেধাবি ছেলেমেয়েরা শিক্ষা, চাকরির সুযোগ হারাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সমাজে বর্ণ বিভাজনের ফলে হাজার হাজার বছর ধরে তফসিলি, আদিবাসীরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চনার অবসান করতেই সংবিধানে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীকালে চালু হয় ওবিসি সংরক্ষণ।
আরও পড়ুন, নভেম্বরে অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি ললিত, এবার সুপ্রিম শীর্ষে কে?