এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কেনায় অনিয়মের অভিযোগে চিদাম্বরমকে সমন ইডির
২০০৭ সালে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকায় বোয়িং সংস্থা থেকে ৬৮টি এবং এয়ারবাস থেকে ৪৮টি বিমান কেনা হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস, আইএনএক্স, আয়বহির্ভূত সম্পত্তি-সহ একাধিক মামলায় ইতিমধ্যেই জর্জরিত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এবার তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কেনা নিয়ে সমন করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সাংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী ২৩ অগস্ট তাঁকে ডাকা হয়েছে। ক্ষতির মুখে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার ১১১টি বিমান কেনা হয় ইউপিএ জমানায়।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রফুল প্যাটেল প্রথম ইউপিএ জমানায় ছিলেন অসামরিক বিমান মন্ত্রী। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নেতৃত্বাধীন এক কমিটি (ইজিওএম বা এম্পাওয়ার্ড গ্রুপ অব মিনিস্টারস) বিমান কেনার অনুমতি দিয়েছিল। প্যাটেলের দাবি, এই সিদ্ধান্ত ছিল সর্বসম্মতিতে নেওয়া। পরে মন্ত্রিসভায় পাশ হয় বিমান কেনার প্রস্তাব।
আরও পড়ুন- প্রয়াত বিহারের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র, ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা নীতীশের
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকায় বোয়িং সংস্থা থেকে ৬৮টি এবং এয়ারবাস থেকে ৪৮টি বিমান কেনা হয়েছিল। ২০০৫ সালে বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি হয় এবং তার পরের বছরে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি করেন মনমোহন সিং। এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স সংযুক্তি হয়ে যায় ২০০৭ সালে। এটিরও তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে ৩টি মামলা দায়ের করে সিবিআই। বিমানের স্বত্ত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইডির তলব নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে দেখা যায়নি পি চিদাম্বরমকে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে পি চিদাম্বরম এবং তাঁর পরিবারের ব্রিটেনে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে কালো টাকা আইনে মামলা হয়।