আলোচনায় নারাজ ভারত
জওয়ান হত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কোনও রকম আলোচনায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, "পাক সেনার বর্বরোচিত আচরণের বিষয়টিই মুখ্য। যাঁরা এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আলোচনা সম্ভব।" ভারতের আবেগের কারণটিও পাকিস্তানের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
জওয়ান হত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কোনও রকম আলোচনায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, "পাক সেনার বর্বরোচিত আচরণের বিষয়টিই মুখ্য। যাঁরা এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আলোচনা সম্ভব।" ভারতের আবেগের কারণটিও পাকিস্তানের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠে আসতে পারে ভারত-পাক সম্পর্কের বিষয়টি। খারের প্রস্তাব নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে খবর। নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের দু'জনের মধ্যে কথা হবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ভারতকে যুদ্ধবাজ বলার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সুর নরম করেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। গত কয়েকদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তে চলা উত্তেজনায় যবনিকা টানতে বুধবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সলমন খুরশিদকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন পাক বিদেশমন্ত্রী। পাক সেনার হাতে দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু ও অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করাকে কেন্দ্র করে দু`দেশের মধ্যে চাপ বাড়ছিল। এই উত্তেজনা বন্ধ হওয়া উচিত বলেই মনে করেন হিনা।
গতকাল এক বিবৃতিতে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রী জানান, "সেনাবাহিনী ও দু`তরফের রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য উত্তেজনার উদ্রেগ করেছে।" সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রক স্তরে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খার।
নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক বর্বরতা নিয়ে মঙ্গলবার পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জবাবে, পাল্টা বার্তা দেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। গতকালই এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, "ভারত যুদ্ধবাজের মতো আচরণ করছে।" যদিও তাঁর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সুর বদলে ফেলেন তিনি। নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাব রেখেছেন হিনা।
ইতিমধ্যে, নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্থিরতা নিয়ে দু`দেশের ডিজিএমওরা নিজেদের মধ্যে হটলাইনে কথা বলেছেন বলে পাক সেনা সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে পাকিস্তানের আলোচনার আহ্বানে ভারতের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত।