কাঠ জোগাড় করতে না পেরে স্বামী স্ত্রীর শেষকৃত্য করলেন টায়ার, আবর্জনায় পড়ে থাকা প্ল্যাস্টিক দিয়ে

ইতিহাস পেরিয়েছে হাজার হাজার বছর। রাজা হরিশ্চন্দ্র এখ ন পুরাণের কাহিনি। কড়ি অর্থাত্‍ অর্থের অভাবে শেষকৃত্য করতে না পারার সেই গল্প এখনও আমাদের কষ্ট দেয়। ভাবায়, কী ছিল সেই সব দিন! কিন্তু আদতে যে কিছুই বদলায়নি আবার মনে করিয়ে দিল, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল। 

Updated By: Sep 6, 2016, 11:34 PM IST
কাঠ জোগাড় করতে না পেরে স্বামী স্ত্রীর শেষকৃত্য করলেন টায়ার, আবর্জনায় পড়ে থাকা প্ল্যাস্টিক দিয়ে

ব্যুরো: ইতিহাস পেরিয়েছে হাজার হাজার বছর। রাজা হরিশ্চন্দ্র এখ ন পুরাণের কাহিনি। কড়ি অর্থাত্‍ অর্থের অভাবে শেষকৃত্য করতে না পারার সেই গল্প এখনও আমাদের কষ্ট দেয়। ভাবায়, কী ছিল সেই সব দিন! কিন্তু আদতে যে কিছুই বদলায়নি আবার মনে করিয়ে দিল, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল। 

দশ মাস আকড়ে রেখেছিলেন। পৃথিবীর মুখ দেখবে সন্তান। দু বছর পর সেই মা-ই  হাসপাতালের বাইরে রাতভর বুকে জড়িয়ে রাখলেন সন্তানকে, শেষকৃত্যের অপেক্ষায়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি পঞ্চাশ কিলোমিটার। মিরাটের ইমরানা বিবির ক্ষমতা ছিলনা টাকা জোগাড় করে গাড়ির ব্যবস্থা করার। হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলান্স চেয়েছিলেন। বলেছিলেন মৃতদেহ পৌছে দিতে। কিন্তু চালকের দাবি, দিতে হবে  পনেরশ টাকা। দিতে পারেননি মা ।  মৃত সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রাত কাটিয়েছেন হাসপাতালে বাইরে, অপেক্ষায় কখন ভোর হয়। বাড়ি নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করতে হবে। 

খবর জানাজানি হতেই , দোষ ঢাকতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অ্যাম্বুলান্স রোগী আনার জন্য, কী করে মৃতদেহ নিয়ে যায়? ইমরানা বিবি ভাবছেন, দশমাস গর্ভে রাখার জন্য ভাগ্যিস পয়সা লাগেনি, নয়তো? এই নয়তোর উত্তর নেই। উত্তর পায়নি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের জগদীশ ভীলও। মৃত স্ত্রীর শেষকৃত্যের কাঠ জোগাড় করতে না পেরে টায়ার, আবর্জনায় পড়ে থাকা প্ল্যাস্টিক দিয়ে অন্ত্যেষ্টি করেছেন।

এও যেন সেই শরত্‍ চট্টোপাধ্যায়ের সেই অভাগীর স্বর্গে যাওয়ার গল্প। কতদিন পেরিয়ে এসেছে দেশ। বদলায়নি কিছুই। আর তার মাঝেই একটি মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা।

সত্যিই তো, দায়িত্ব নেওয়ার কেউ-ই কী নেই।

.