ভোট চাইতে গেলেন বিধায়ক, পাঁচ বছরের হিসাব চেয়ে সমর্থকদের বেধড়ক মারধর জনতার
তাঁর কাছে গত পাঁচ বছরের কাজের হিসাব চাইতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
![ভোট চাইতে গেলেন বিধায়ক, পাঁচ বছরের হিসাব চেয়ে সমর্থকদের বেধড়ক মারধর জনতার ভোট চাইতে গেলেন বিধায়ক, পাঁচ বছরের হিসাব চেয়ে সমর্থকদের বেধড়ক মারধর জনতার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/09/17/275579-bih.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের আগে প্রচারের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থক, প্রত্যেকেই প্রচারের কাজে ব্যস্ত। এমনকী আগামী কয়েকদিন কোথায়, কীভাবে প্রচার করা হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে রাষ্ট্রীয় জনতা দল ইউনাইটেডের একজন বিধায়ক প্রচারের কাজে বেরিয়ে মহাবিপদে পড়লেন। জনতার দরবারে ভোট চাইতে গিয়ে তাঁকে রীতিমত পালিয়ে বাঁচতে হল। আমজনতার অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে ওই বিধায়ক এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করেননি। বহুদিন ধরেই এলাকার লোকজন সেই বিধায়ককে ঘেরাও করার সুযোগ খুঁজছিল। এদিন জেডিইউ এর বিধায়ক উমেশ কুশোয়া এলাকায় প্রচারের কাজে বেরোতেই লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। তারপর তাঁর কাছে গত পাঁচ বছরের কাজের হিসাব চাইতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
বিধায়ক উমেশ কুশোয়ার সঙ্গে থাকা জেডিইউ সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা সাফ জানিয়ে দেন, এবার কোনওমতেই তাঁরা একটি ভোটও জেডিইউ-এর নেতাকে দেবেন না। কারণ গত পাঁচ বছরে তাঁদের এলাকায় উন্নয়নমূলক একটি কাজও করেননি সেই বিধায়ক। উন্মত্ত সাধারণ জনতাকে কোনওরকমে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে এলাকা ছাড়েন বিধায়ক উমেশ। পুলিশ ও দেহরক্ষীদের সাহায্যে শেষমেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি। কিন্তু তিনি এলাকা ছাড়ার পরও সাধারন মানুষ রাগে ফুঁসছে থাকেন। বিহারের বৈশালী জেলার এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতে কবে পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন! সংসদে দাঁড়িয়ে জানালেন খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রী
বিহারের হাজিপুরে এদিন আরেক ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। সেখানেও বহুদিন ধরে এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে সাধারণ জনগণ একাধিকবার বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। রাস্তার বেহাল দশা সম্পর্কে অভিযোগ যেন কানেই তোলেননি সেই বিধায়ক। পাঁচ বছর ধরে বেহাল রাস্তায় জল জমার কারণে নাকাল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন ওই এলাকার বিধায়ক অবধেশ সিংকে হাতের নাগালে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘেরাও করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা দলের সমর্থকদের মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি একটা সময় প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিধায়ক তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।