১০ বছরের নাবালিকা পরিচারিকাকে মেরে চোখে-হাতে কালশিটে! পাইলট দম্পতিকে বেধড়ক মার
ওই দম্পতি প্রায় ২ মাস আগে ঘরের কাজের জন্য ১০ বছর বয়সী একটি নাবালিকাকে নিযুক্ত করেন। কাজে রাখার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ওই নাবালিকাকে নির্যাতন করতেন দম্পতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিশুশ্রম করানোর অভিযোগ এক পাইলট ও তাঁর স্বামীর বিরদ্ধে। অভিযোগ, বছর দশেকের ওই নাবালিকাকে বাড়িতে পরিচরিকা হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন ওই পাইলট ও তাঁর স্বামী। নাবালিকা ওই পরিচারিকার উপর অত্যাচারও করেন তাঁরা। আর তারপরই উত্তেজিত জনতা ওই পাইলট ও তাঁর স্বামীকে ধরে উত্তমমধ্যম দিলেন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের।
অভিযোগ, ওই দম্পতি প্রায় ২ মাস আগে ঘরের কাজের জন্য ১০ বছর বয়সী একটি নাবালিকাকে নিযুক্ত করেন। কাজে রাখার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ওই নাবালিকাকে নির্যাতন করতেন দম্পতি। জানা গিয়েছে, স্ত্রী একজন পাইলট হওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত স্বামীও একজন বিমান পরিবহন সংস্থার কর্মী। দিল্লির দ্বারকার বাসিন্দা ওই দম্পতি। তাদের কৃতকর্ম সামনে আসার পর থেকেই, নাবালিকা পরিচারিকাকে নির্যাতন করার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা তাদের মারধর করে। ইতিমধ্যেই এই মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতা বার বার ওই মহিলাকে চড় মারছে। ওই মহিলা তখনও পাইলটের ইউনিফর্মেই রয়েছে। সেই অবস্থাতেই মারধর করা হচ্ছে তাঁকে। উলটে সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার করতেই, তাঁকে চুল ধরে টানা হয়। একাধিক মহিলা তাঁকে আঘাত করতে থাকে। ওই পাইলট মহিলা তাঁর কৃতকর্মের জন্য "দুঃখিত" বলে চিৎকার করলেও, তাঁর কথায় কেউ কর্ণপাত পর্যন্ত করেন না। ওদিকে মারধর করা হয় তাঁর স্বামীকেও। তিনি উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাঁর স্ত্রীকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে গেলে, তাঁকেও মারধর করা হয়।
এমনকি ভিড়ের মধ্যে থেকে একজনকে চিৎকার করে বলতেও শোনা যায়,'এবার তো মারা যাবে, মারা যাবে!" জানা গিয়েছে, ১০ বছরের ওই মেয়েটির এক আত্মীয় তার হাতে চোট-আঘাত দেখতে পান। চোট-আঘাতের চিহ্ন দেখেই তিনি পুলিসকে খবর দেন। অভিযোগ করেন, শারীরিক নিগ্রহের। এমনকি ওই পরিচারিকা নাবালিকার চোখের নীচেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই দম্পতির উপর চড়াও হন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, ভারতে শিশুদের গৃহকর্মী হিসাবে নিয়োগ করা নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় দ্বারকার সিনিয়র পুলিস অফিসার এম হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, তারা মেয়েটির বাহুতে পোড়া দাগ দেখেছেন। একটি ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাউন্সেলিং করা হয়েছে শিশুটির। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন, প্রেমিকার স্বামীকে খুনের পর বাগানে পুঁতে লাগাল আমগাছ! ভয়ংকর কাণ্ড প্রেমিকের...