Purvanchal Expressway: এক্সপ্রেসওয়েতে বিমান থেকে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, বললেন পূর্ব ভারতে হয়নি উন্নয়ন
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পূর্ব ভারতে উন্নয়ন কম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোদী
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনে এসে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে তৈরি এয়ারস্ট্রিপে বিমান থেকে অবতরণ করলেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন তিন বছর আগে যখন এই রাস্তার শিলান্যাস করা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন এই রাস্তায় তিনি একদিন প্লেন থেকে নামবেন। এই এক্সপ্রেসয়েকে উত্তর প্রদেশের উন্নতি এবং প্রগতির প্রতীক বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন বিভিন্ন সরকারেকে আক্রমন করে তিনি বলেন দেশের কিছু ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে একদমই হয়নি। কোনও উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এই ফারাক ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন যে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পূর্ব ভারতে উন্নয়ন কম হয়েছে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে আরও কম হয়েছে উন্নয়ন।
এর আগে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে কেউ নজর দেয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন সরকারগুলির সমালচনা করে তিনি বলেন রাজ্যের এই অঞ্চলগুলিকে মাফিয়া রাজ এবং অনুন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিণত করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে রাজ্যের এই অঞ্চলই উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছেন যা অনুপ্রেরনাদায়ক এই মন্তব্যও করেন তিনি। উন্নয়নের সঙ্গেই সুরক্ষার উপর মনোযোগ দেওয়ার কথা বলে তিনি জানান এই পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে বায়ুসেনার জন্য খুবই উপযোগি কারন এখানে যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: Purvanchal Expressway: উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী আসছেন C-130J হারকিউলিস বিমানে
এই এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশের সম্পদ বলে বর্ণনা করেন তিনি। উত্তর প্রদেশকে এই উপহার দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে রয়েছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনেকে ঘিরে আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি তাদের রণকৌশল সাজান শুরু করে দিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। আজধ্যা থেকে তিরঙ্গা যাত্রা শুরু করেছে আম আদমি পার্টি, অন্যদিকে সমাজবাদি পার্টি নিয়ে এসেছে সমাজবাদি সুগন্ধি। এরমাঝেই কংগ্রেস জানিয়েছে যে সব আসনেই তারা একক ভাবে লড়বে। এই ত্রিপাক্ষিক আক্রমনের মুখে পূর্বাঞ্চলীয় এক্সপ্রেসওয়ে যোগী সরকারকে উন্নয়নের নিরিখে ভোটারদের মন জয় করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।