PM Modi: কোন বিশেষ তিন লক্ষ্যে এবার ত্রিদেশীয় সফরে চললেন প্রধানমন্ত্রী জানেন?
PM Modi In Abroad: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ দিন পর বিদেশের পথে। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রা নিয়ে এর আগে বহু কথা উঠেছে। এবারে এখনও সেকথা ওঠেনি। কেননা, এবারে এমনিতেই তিনি দীর্ঘদিন পরে বিদেশমুখী। জানা গিয়েছে, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রণনীতি-- এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখেই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর এই বিদেশযাত্রা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রা নিয়ে এর আগে বহু কথা উঠেছে। একাংশের মতে, মোদীর বিদেশযাত্রার বাহুল্য একটু বেশি চোখে পড়ার মতো। তবে আপাতত নরেন্দ্র মোদী আবার এক বিদেশ সফরের সামনে। এবং এখনও সফর ঘিরে কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি। কেননা, এমনিতেই বহুদিন পরে তিনি বিদেশমুখী। এই মুহূর্তে এই সফরকে ঘিরে যা জানা যাচ্ছে, তা হল, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রণনীতি-- এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ দিন পর বিদেশের পথে।
আরও পড়ুন: G20 Meeting: জি২০ কেন কাশ্মীরে, প্রশ্ন তুলে ভারতের কাছে ভর্ৎসিত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক...
আগামী ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলবে নরেন্দ্র মোদীর এই ত্রিদেশীয় সফর। প্রথমে যাবেন জাপানের হিরোশিমায় জি ৭ গোষ্ঠীভুক্ত সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তার পরে পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা-সম্মেলন। এটা সেরে তাঁর অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে যাওয়ার কথা, কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে। যদিও সদ্য শোনা গিয়েছে কোয়াড আয়োজিত হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক শিবিরের মতে, অনেক দেশের অনেক রকম কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ভারতকে যেতে হবে ঠিকই, তবে তার মধ্যে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বা দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে চিনের মোকাবিলা করা ভারতের অন্যতম প্রধান কাজ হতে চলেছে। এসবের পাশাপাশি, বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যও রয়েছে। স্বয়ং মোদী রোজগার মেলার বক্তৃতায় বলেছেন-- আগামী সপ্তাহে আমার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অনেক সংস্থার সিইও-দের বৈঠক হবে। তাঁরা ভারতে বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহী! বোঝাই যাচ্ছে, মোদী কোন দিকে ইঙ্গিত করছেন।
এর মধ্যে জি ৭-এর বৈঠকে মূলত শান্তির বার্তা দিতে চলেছেন মোদী। কারণ, সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্টতই তীব্র মেরুকরণ তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে ভারতের কাছে রাশিয়া এবং আমেরিকা, দু’পক্ষেরই দাবি থাকবে যে, ভারত যেন তাদের দুজনের স্বার্থ বজায় রেখেই কথা বলে!
আবার পাপুয়া নিউগিনির বৈঠকটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে নিজেদের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত প্রভাব স্থায়ী করার জন্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে চিন। আবার ভারত চাইছে, এখানে তার নিজের জমিও শক্ত হোক। তাহলে চিনের সঙ্গে তার সংঘাতের আবহ তৈরিই। সুতরাং খুব মেপে পা ফেলতে হবে ভারতকে।