আর কত কাল ভারতকে বঞ্চিত রাখা হবে? রাষ্ট্রসঙ্ঘে আগ্রাসী প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভূমিকা নিয়েই এদিন সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন করলেন, অতিমারীর সময়ে কী ভূমিকা নিয়েছে তারা?
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও রাখঢাক নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংস্কারের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে তৈরি হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তারপর, গত ৭৫ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে পৃথিবী। কিন্তু বদলে যাওয়া দুনিয়ার সঙ্গে সে তাল মেলাতে পারছে কই! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়নি ঠিকই কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বা করোনার মতো বিশ্ব মহামারির মোকাবিলা করতেও যে রাষ্ট্রসঙ্ঘ পারেনি, সে কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভূমিকা নিয়েই এদিন সুর চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, অতিমারীর সময়ে কী ভূমিকা নিয়েছে তারা? গত ৮-৯ মাস ধরে করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোথায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ? সদর্থক পদক্ষেপ নেই কেন? প্রধানমন্ত্রীর অভিমত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মনোভাব, ব্যবস্থা ও ছবি বদলাতে হবে। এটাই সময়ের দাবি।
গত জুনে ২ বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। কিন্তু, লক্ষ্য যে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,''রাষ্ট্রসঙ্ঘকে সম্মানের চোখে দেখে ভারতের ১৩০ কোটি নাগরিক। বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা খুব হাতেগোনা। এটাও সত্যি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন ভারতবাসী। ইতিবাচক বদল দেখতে চাইছেন। কত দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থেকে ভারতকে বঞ্চিত রাখা হবে?''
#WATCH Today, people of India are concerned whether this reform-process will ever reach its logical conclusion. For how long will India be kept out of the decision-making structures of the United Nations?: PM Modi at UNGA #ModiAtUN pic.twitter.com/vfFR9Gqj0j
— ANI (@ANI) September 26, 2020
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী হওয়ার জন্য ভারতকে ভোট দিয়েছিল সদস্য দেশগুলি। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- গোটা বিশ্বকে ভ্যাকসিন দিতে সমর্থ ভারত, রাষ্ট্রসঙ্ঘে আশ্বাস মোদীর