নতুন ভোর, উন্নততর আগামী, ইতিহাস গড়ার পর জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখকে বার্তা মোদীর

রাজ্যসভার পর মঙ্গলবার লোকসভাতেও পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল।

Updated By: Aug 6, 2019, 10:41 PM IST
নতুন ভোর, উন্নততর আগামী, ইতিহাস গড়ার পর জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখকে বার্তা মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভার জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল হওয়ার পর 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত' আখ্যা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন লোকসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ প্রস্তাব ও জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। 

প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, সবাই মিলে এগিয়ে চলব, ১৩০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্নপূরণ করব। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ হয়েছে ঐতিহাসিক বিল। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের একাত্মতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। মূল স্ত্রোতে নিয়ে আসবে যুবকদের। দক্ষতা মেলে ধরার সুযোগ পাবেন তাঁরা। স্থানীয় পরিকাঠামোরও উন্নতি হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন,'জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের ভাই-বোনেদের স্যালুট করছি। দীর্ঘদিন ধরে আবেগের ব্ল্যাকমেইল করে উন্নয়ন আটকে রেখেছিল স্বার্থাণ্বেষীরা। সাধারণ মানুষের উন্নতি নিয়ে ভাবেনি তারা। সবরকম শিখল থেকে মুক্ত জম্মু-কাশ্মীর। নতুন ভোর ও উন্নত আগামী অপেক্ষারত।'                 

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর কথায়,'ভারতকে জোড়ার কাজ করেছিলেন সর্দার পটেল। বাবা সাহেব আম্বেদকরের মতও সকলের জানা। ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের বিলটি তাঁদের প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।' 

লাদাখবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে মোদীর বার্তা, লাদাখের বাসিন্দাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। তা পূরণ হল এবার। এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন ও উন্নত পরিষেবার সুযোগ মিলবে। 

সব দলের সাংসদদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আলাদা করে নিজের সেনাপতি অমিত শাহের কথা উঠে এসেছে মোদীর মুখে। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে কঠোপ পরিশ্রম করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল পাশে তাঁর দায়বদ্ধতা ও অধ্যবসায় আমরা দেখেছি। বিশেষ ধন্যবাদ দেব অমিত শাহকে। 

রাজ্যসভার পর মঙ্গলবার লোকসভাতেও পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭০টি। বিপক্ষে ৭০টি ভোট। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রস্তাবে ভোট পড়েছে ৩৫১টি। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৭১জন সাংসদ। ভোটদানে বিরত থেকেছেন একজন।     

আরও পড়ুন- ঘরে ফেরার রাস্তা সাফ, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর আবেগপ্রবণ কাশ্মীরি পণ্ডিত গায়িকা

.