শিনা বোরা হত্যা কাণ্ড: অভিযুক্ত সঞ্জীব খান্নাকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিল মুম্বই পুলিস
শিনা বোরা হত্যায় অভিযুক্ত সঞ্জীব খান্নাকে পাঁচদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিল মুম্বই পুলিস। আলিপুর আদালতকে দেওয়া রিপোর্টে মুম্বই পুলিসের দাবি, ষড়যন্ত্র করে ঠান্ডা মাথায় মেয়ে শিনাকে খুন করেছেন ইন্দ্রাণী। সেই কাজে দোসর করেছেন প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে। খুনের আগে গাড়িচালক টিঙ্কু রামকে নিয়ে ইন্দ্রাণী রেইকি করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
ব্যুরো: শিনা বোরা হত্যায় অভিযুক্ত সঞ্জীব খান্নাকে পাঁচদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিল মুম্বই পুলিস। আলিপুর আদালতকে দেওয়া রিপোর্টে মুম্বই পুলিসের দাবি, ষড়যন্ত্র করে ঠান্ডা মাথায় মেয়ে শিনাকে খুন করেছেন ইন্দ্রাণী। সেই কাজে দোসর করেছেন প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে। খুনের আগে গাড়িচালক টিঙ্কু রামকে নিয়ে ইন্দ্রাণী রেইকি করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
মুম্বই পুলিস আলিপুর আদালতে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে চমকে যেতে হয়। ১৯৯৩ সালে সঞ্জীব খান্নার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইন্দ্রাণীর। ২০০১ সালে দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ। মুম্বই পুলিসের গোয়েন্দারা সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসা করেন, ডিভোর্সের পরেও ইন্দ্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন কেন? উত্তরে সঞ্জীব বলেন, মেয়ে বিধি ও ইন্দ্রাণীকে ফেরত পেতে চেয়েছিলেন তিনি। বিধিকেও নাকি দত্তক নিয়েছিলেন পিটার মুখার্জি। এরপর গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, ডিভোর্স কি আইন মেনেই হয়েছিল? নাকি এই বিচ্ছেদও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? এই প্রশ্নের উত্তর দেননি সঞ্জীব। এরপর গোয়েন্দাদের সরাসরি জিজ্ঞাসা, শিনা বোরাকে খুন করলেন কেন? সঞ্জীবের দাবি, তিনি খুন করেননি।
আলিপুর আদালতে সঞ্জীবের আইনজীবীও একই দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাচক্রে শিনাকে খুনের দিনই মুম্বইয়ে মেয়ে বিধির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সঞ্জীব খান্না।
কিন্তু মুম্বই পুলিসের তথ্য-প্রমাণ অন্য কথা বলছে। শিনা বোরা খুন হন ২০১২ সালের ২৪শে এপ্রিল।
ওইদিন রাতেই সঞ্জীব খান্নাকে ফোন করেন ইন্দ্রাণী। ২৪শে এপ্রিল মুম্বইয়ের ওরলির হিলটপ হোটেলে রুম বুক করেন ইন্দ্রাণী। ফ্লাইট ধরে সকালেই হোটেলে পৌছন সঞ্জীব। সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ন্যাশনাল কলেজের কাছে লিঙ্কিং রোড বান্দ্রায় চলে আসেন শিনা। মেয়েকে গাড়িতে তুলে নেন ইন্দ্রাণী। সঙ্গে সঞ্জীব ও চালক টিঙ্কু রাম। পুলিসের দাবি, গাড়িতেই শিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। দেহ ব্যাগে ভরে ডিকিতে চালান করা হয়। আগে থেকেই ইন্দ্রাণীর দেখে আসা গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় ব্যাগবন্দি দেহ ফেলে দেওয়ার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খুনের সময় যে তিনি গাড়িতেই ছিলেন, একথা অস্বীকার করছেন না সঞ্জীব। কিন্তু তাঁর দাবি, গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঘুম ভাঙতে দেখেন, তাঁরা জঙ্গলে। শিনাকে খুন করা হয়েছে। সঞ্জীবের এই বক্তব্য মানছেন না তদন্তকারীরা। তাদের প্রশ্ন, বলপ্রয়োগ করে গলা টিপি মারা হচ্ছে এক প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে। সেই গাড়িতেই তখন ঘুমিয়ে আছেন এক জন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। দুই, খুনের ঘটনা জানতে পেরেও কেন তা পুলিসকে জানাননি সঞ্জীব।