কাল রাত থেকে নিষ্প্রদীপ পুরী, মিলছে না ফোনের নেটওয়ার্ক, এখনও চলছে জলচ্ছ্বাস

সাইক্লোন পাইলিন আছড়ে পড়ার পুরী এখন বিদ্যুত্‍হীন। রাত ৯টার পর থেকে গোটা পুরী একেবারে নিষ্প্রদীপ। যে সব পর্যটকরা এখনও পুরীতে আটকে পড়েছেন তারা এখন হোটলবন্দি। পুরীর রাস্তা সকাল থেকে শুনিশান, এখনও বেশ জোরে হাওয়া দিচ্ছে। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে ১৮ জন নাবিকের খোঁজ মিলছে না।

Updated By: Oct 13, 2013, 11:19 AM IST

সাইক্লোন পাইলিন আছড়ে পড়ার পুরী এখন বিদ্যুত্‍হীন। রাত ৯টার পর থেকে গোটা পুরী একেবারে নিষ্প্রদীপ। যে সব পর্যটকরা এখনও পুরীতে আটকে পড়েছেন তারা এখন হোটলবন্দি। পুরীর রাস্তা সকাল থেকে শুনিশান, এখনও বেশ জোরে হাওয়া দিচ্ছে।
বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। নিশ্চয়তা নেই রেল পরিষেবারও। ফলে ফেরার ব্যাপারে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তাঁরা। দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানীয়ের সংকট।
জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এক প্যাকেট মুড়ি বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ টাকায়। পাঁচ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে কুড়ি টাকায়। পাঁচ টাকার কেকের দাম চল্লিশ টাকা। একটি মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ টাকায়। এক বাক্স দেশলাই বিক্রি হচ্ছে পনেরো টাকায়। এক মিনিটের দূরত্বে দশ টাকার অটো ভাড়া দাঁড়িয়েছে  দেড়শো টাকায়। প্রশাসনের তরফ থেকেও পর্যাপ্ত সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে পর্যটকদের।
 এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে ১৮ জন নাবিকের খোঁজ মিলছে না।
প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর
পুরী -০৬৭৫২২২৩২৩৭
গণ্জাম-০৬৮১১-২৬৩৯৭৮
কেন্দাপাড়া-০৬৭২৭-২৩২৮০৩
জয়পুর-০৬৭২৮২২২৬৪৮
কটক-০৬৭১২৫০৭৮৪২
ঢেঙ্কানল-০৬৭৬২২২১৩৭৬
খুরদা-০৬৭৫৫২২০০০২
কেওনঝড়-০৬৭২৮২২২৬৪৮

ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সফর কাঁটছাঁট করে দিল্লি ফিরে গেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সাইক্লোন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রীও। 
পাইলিনের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য তার দল ও সরকার যথাসাধ্য করবে। শনিবার এমনই আশ্বাস দিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি।সাইক্লোন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।  ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিন বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে গতকাল দফায় দফায় বৈঠক করেন বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব। 
যুদ্ধকালীন ততপরতায় কাজ করছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে বায়ুসেনার বেশকয়েকটি হেলিকপ্টার। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য বায়ুসেনার কয়েকটি বিমানকে তৈরি রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রদবদল করে দিয়েছে রাষ্ট্রপতির সফরসূচিও।মহাষ্টমীর দিনই সফর কাটছাঁট করে দিল্লি ফিরে গেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। শনিবার মীরাটির বাড়ি থেকে দিল্লি রওনা দেন রাষ্ট্রপতি। 

.