১৩ বছর পর 'হিট অ্যান্ড রান' মামলায় সল্লুর স্বস্তি!

"শুধু সন্দেহ করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে, সলমন খানই সাদা ল্যান্ড ক্রুজার চালিয়ে চাপা দিয়েছেন বান্দ্রার ফুটপাথবাসীকে", হিট অ্যান্ড রান মামালায় সলমন খানের বিপক্ষের আইনজীবীকে সওয়াল করলেন বিচারপতি এ আর জোশি।

Updated By: Dec 9, 2015, 06:44 PM IST
১৩ বছর পর 'হিট অ্যান্ড রান' মামলায় সল্লুর স্বস্তি!

ওয়েব ডেস্ক: "শুধু সন্দেহ করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে, সলমন খানই সাদা ল্যান্ড ক্রুজার চালিয়ে চাপা দিয়েছেন বান্দ্রার ফুটপাথবাসীকে", হিট অ্যান্ড রান মামালায় সলমন খানের বিপক্ষের আইনজীবীকে সওয়াল করলেন বিচারপতি এ আর জোশি।

সালটা ২০০২। বান্দ্রার ফুটপাথে নিজের সাদা ল্যান্ড ক্রুজার দিয়ে এক পথচারীকে চাপা দিয়েছেন সলমন, এই অভিযোগেই সলমনের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের নিম্ন আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। কেটেছে ১৩টি বছর। মামলায় একের পর এক এসেছে নয়া মোড়। কখনও সলমনের গাড়ি চালক বলেছেন, 'সলমন গাড়ি চালায়নি, চালিয়েছি আমি', আবার কখনও সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে প্রমাণ করা যায়নি সলমনই দোষী। একবার আদালতের রায়ে জেলের আদেশও আসে, তবে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পান বজরঙ্গি ভাইজান। শেষ পর্যন্ত নানা টানাপড়েনের পর এই প্রথমবার আদালতের সওয়ালে সম্ভাব্য স্বস্তির মুখ দেখতে চলেছেন সল্লু।

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০২
সলমনের সাদা ল্যান্ড ক্রুজার চাপা দিয়েছিল বান্দ্রার ফুটপাথের এক পথচারীকে। ঘটনায় আহত  হয়েছিল ৪ জন।

২৮ সেপ্টেম্বর
সলমনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।    

২৮ সেপ্টেম্বর
সলমন খানকে গ্রেফতার করে বান্দ্রা থানার পুলিস।

১ অক্টোবর
সলমনের বিরুদ্ধে IPC, Motor Vehicles Act, 1988 ধারায় মামলা দায়ের হয়।

৭ অক্টোবর, ২০০২
সলমন খান বান্দ্রা পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

২১ অক্টোবর, ২০০২
সলমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় বান্দ্রা পুলিস।

২৪ অক্টোবর, ২০০২
জামিন পান সলমন।

মার্চ, ২০০৩
মুম্বই কোর্টে পাল্টা আবেদন জানান সলমন খান।

জুন, ২০০৩
বোম্বে হাই কোর্টে আবেদন করেন সলমন।

অক্টোবর, ২০০৬
সলমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

ডিসেম্বর, ২০১৩
১৭ জন সাক্ষ্মীর জবানবন্দি নেয় আদালত।

এপ্রিল, ২০১৪
নতুন করে শুরু করা হয় 'হিট অ্যান্ড রান' মামলা।

২৫ মার্চ,  ২০১৫
২৪ জনের সাক্ষ্মী জমা করেন প্রসিকিউশন।

৩১ মার্চ, ২০১৫
সলমনের গাড়ির চালক অশোক আদালতকে জানায়, গাড়ি তিনিই চালাচ্ছিলেন, সলমন নয়।

৬ মে, ২০১৫
সলমনের বিরুদ্ধে রায় দেয় আদালত।

এবার এই মামালায় স্বস্তির বার্তা, অন্তত বিচারপতি এ আর জোশির মন্তব্যে এমনটাই মনে করছে আইন বিশেষজ্ঞরা।

.